অবিবাহিতদের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি বিবাহিতদের তুলনায়
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩, ১৮:২২ | অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক

আপনি অবিবাহিত আছেন , হয়তো ভাবছেন একা আছি তো কি হয়েছে , ভালোই তো আছি, তাহলে গবেষকরা আপনার জন্য নিয়ে এসেছে দু:সংবাদ। কারণ গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, অবিবাহিতদের মধ্যে পেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বিবাহিতদের তুলনায়।
গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩ হাজার ৬৪৭ জন ক্যানসার রোগীর বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে এই উপসংহারে পৌঁছান।
বর্তমান সময়ে দেখা যায়, অবিবাহিত বা সিঙ্গেল থাকার বিষয়টি হয়তো অনেকের কাছেই আনন্দদায়ক। গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, অবিবাহিতদের মধ্যে পেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বিবাহিতদের তুলনায়। অর্থাৎ সিঙ্গেলদের দুঃখ হয়তো আরও বাড়িয়ে তুলবে নতুন এই গবেষণার তথ্য।
চীনের আনহুই মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট অ্যাফিলিয়েটেড হাসপাতাল দ্বারা পরিচালিত একটি নতুন সমীক্ষা এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক আমান জু তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত বিবাহিত ব্যক্তিদের বেঁচে থাকার হার অন্যান্য দল যেমন- বিধবা, অবিবাহিত, বিচ্ছিন্ন ও তালাকপ্রাপ্তদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ছিল।
অর্থাৎ বিবাহিত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যানসার হলেও রোগী দীর্ঘায়ু পেতে পারেন । কারণ গবেষকরা দেখেছেন, ৭২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়ার পর অবিবাহিতদের তুলনায় ৫ বছর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে সিঙ্গেল থাকার সঙ্গে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের সম্পর্ক কোথায়?
যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন তবে গবেষকরা ধারণা করেছেন, অবিবাহিত কিংবা বিধবাদের মধ্যে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণ হলো তারা নিজেদের প্রতি কম যত্নবান।
এছাড়াও চিকিৎসার বিষয়ে তাদের ‘আরও মনোযোগ ও সামাজিক সহায়তা প্রয়োজন।
জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে সবাই সুখ অনুভব করেন জানিয়ে গবেষকরা জানান, সঙ্গী পাশে থাকলে আপনার খেয়ালও রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবা তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগী সহজে ভেঙে পড়েন না।
এছাড়াও শুধু পাকস্থলীর ক্যানসারই নয় অবিবাহিতদের মধ্যে আলঝাইমার রোগ ও ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কারণ মানসিক চাপ, অনিদ্রা, হৃদরোগ, বিষণ্নতা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, পেটের সমস্যাসহ সাধারণ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়তে পারে।
তবে এর বিপরীত চিত্রও দেখা যায় অন্য গবেষণায় । কারণ সিঙ্গেলরা বেশি মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন, তারা ভালোভাবে ঘুমাতে পারে, কম ঋণ থাকে এমনকি তাদের মানসিক চাপও কম থাকে এই জন্য একা থাকার সুবিধা ও বেশি বলে দেখায় যায়। যার ফলে একা থাকা সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।
এবি/টিএ