মামুনুল হকের বিয়ে বৈধ বললেন অভিযোগকারী দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩, ১৮:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

মামুনুল হকের দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ ছিল বলে দাবি করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বড় ছেলে আব্দুর রহমান। মামুনুল হকের সাথে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিচ্ছেদের পর আবারও তারা বৈধভাবে বিয়ে করেন। 

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় আরও দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন বাদীর (মাওলানা মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী) ছেলে আব্দুর রহমান ও সোনারগাঁওয়ের সাংবাদিক এনামুল হক।

মাওলানা মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন জানান, সাক্ষী আব্দুর রহমান বলেছে তার বাবার সঙ্গে তার মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তার মা মাওলানা মামুনুল হককে বৈধভাবে বিয়ে করেন। এতে করে স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় মাওলানা মামুনুল হক নির্দোষ। এ মামলা থেকে তিনি খালাস পাবেন। আব্দুর রহমান সাক্ষী দেওয়ার পর আদালতে তার নিরাপত্তা চেয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামলার বাদীর ছেলে আব্দুর রহমান ও সোনারগাঁওয়ের সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুতের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ (রকিব) চৌধুরী বলেন, বাদী জান্নাত আরা ঝর্নার ছেলে আব্দুর রহমমান ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুৎ সাক্ষীতে বলেছে মাওলানা মামুনুল হক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণাকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছে আদালত।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছিল মাওলানা মামুনুল হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। একইসঙ্গে আদালতপাড়াজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়।

এবি/ জিয়া