শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে না লড়ার সিদ্ধান্ত জেডআই খান পান্নার

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:২২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেডআই খান পান্না।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী।

পান্না বলেন, প্রথমে শেখ হাসিনাকে ডিফেন্ড করতে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ চেয়েছিলাম। কিন্তু স্টেট ডিফেন্সের মাধ্যমে আইনি লড়াই করা যাবে বলে জানিয়েছেন আদালত। এতে আমি সম্মতি দেই। যদিও নিয়োগের চিঠি এখনও পাইনি। চিঠি পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তবে আপাতত ভিডিও বার্তায় জানিয়ে দিলাম যে, শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াবো না। যা হওয়ার হবে।

সিদ্ধান্ত বদলানোর কারণ হিসেবে এই আইনজীবী বলেন, এই আদালতে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছে। এজন্য তাকে ডিফেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া যেহেতু এই আদালতের প্রতি শেখ হাসিনার আস্থা নেই, সেহেতু আমি তাকে ডিফেন্ড করতে পারি না। এটা উচিত নয়।

গুমের দুই মামলায় শেখ হাসিনার হয়ে লড়তে নিজেই আবেদন করেন পান্না। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। ২৩ নভেম্বর এ নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল। বাকি সদস্য হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এছাড়া টিএফআই সেলে গুমের মামলায় ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ৩ ডিসেম্বর ও জেআইসি সেলে গুমের মামলায় ১৩ আসামির বিরুদ্ধে শুনানির জন্য ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। আরেক আইনজীবী এম হাসান ইমামকেও এ মামলায় স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

দুই মামলায় বর্তমানে গ্রেপ্তার রয়েছেন ১৩ সেনা কর্মকর্তা। তারা হলেন- র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।


আমার বার্তা/এমই