বিচার বিভাগে আস্থা আছে: লতিফ সিদ্দিকীর জামিনে প্রতিক্রিয়া কাদের সিদ্দিকীর

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:১০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বিচার বিভাগের প্রতি দেশের মানুষের ও আমাদের আস্থা আছে। আমার ভাই লতিফ সিদ্দিকীর জামিন তার প্রমাণ। আমি বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর তার ভাই কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

গত ৩০ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতে জামিন শুনানিকালে একজন আইনজীবী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কাছে এগিয়ে যান। তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিতে চান। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আইনজীবীকে বলেন, আদালতের প্রতি তার কোনো আস্থা নেই। এ জন্য তিনি কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেবেন না।

এর আগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। 

এই আদেশের ফলে লতিফ সিদ্দিকীর কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী জেড আই খান পান্না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল ও আল আমিন হোসেন। 

সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল বলেন, এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও ঢাবি অধ্যাপক কার্জনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন। শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।

অন্য আসামিরা হলেন- মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন (৭৩), মঞ্জুরুল আলম (৪৯), কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল (৭২), গোলাম মোস্তফা (৮১), মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৬৪), মো. জাকির হোসেন (৭৪), মো. তৌছিফুল বারী খাঁন (৭২), মো. আমির হোসেন সুমন (৩৭), মো. আল আমিন (৪০), মো. নাজমুল আহসান (৩৫), সৈয়দ শাহেদ হাসান (৩৬), মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার (৬৪), দেওয়ান মোহম্মদ আলী (৫০) ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম (৬১)।

এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক তৌফিক হাসান আসামিদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন। 
আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১০টায় ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে ‘মঞ্চ ৭১’ এর ব্যানারে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত থেকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং অন্যদের প্ররোচিত করেন। পরে বৈঠকে অংশ নেওয়া ৭০ থেকে ৮০ জনের মধ্যে থেকে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, ৫ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করা সংগঠন ‘মঞ্চ ৭১’-এর লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জনগণকে আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত করা। তবে পুলিশের অভিযোগ, এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল।


আমার বার্তা/জেএইচ