ভিকারুন্নেসার শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, আসামির যাবজ্জীবন
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

৮ বছর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ভিকারুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে আসামি আনিছ আহম্মেদ নীলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন। এর মধ্যে ধর্ষণের দায়ে তার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায় এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) রায়ের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আসামি পলাতক থাকায় তার স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ বা পুলিশ গ্রেপ্তারের পর তার সাজা কার্যকর করা হবে বলে আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ভিকারুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে আসামি আনিছ আহম্মেদ নীলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। ফেসবুকের পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতেন। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার সময় ভিকটিম বাসা থেকে কোচিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে কোচিং শেষে বাসায় ফিরে না আসায় তার বাবা ও মামলার বাদী তাকে খুঁজতে আজিমপুর গিয়ে কোচিং শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম কোচিংয়ে যায়নি বলে জানান। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কয়েকজন তাকে জানান যে, ৩০ অক্টোবর ২টা ৪ মিনিটের সময় তার মেয়ে বাসা থেকে কামরাঙ্গীরচর থানাধীন বড়গ্রাম চেয়ারম্যান বাড়ির মোড়ে পৌঁছালে আসামি আনিছ আহম্মেদ নীলসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামিরা তার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে দেখেছেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন হোসেন আসামির বিরুদ্ধে ভিকটিমকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আমার বার্তা/জেএইচ