ইতালীয় নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৪:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

১০ বছর আগের ইতালীয় নাগরিক ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডি’র কর্মকর্তা তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ৪ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) দুপুরের ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল ও তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল। এছাড়াও দণ্ডিত ৩ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুম, কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ৯০ নম্বর সড়কের পশ্চিম প্রান্তে গুলশান এভিনিউ সংলগ্ন গভর্নর হাউজের দক্ষিণের দেয়াল ঘেঁষা ফুটপাতে দুর্বৃত্তরা তাবেলা সিজারকে গুলি করে। ওই সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশনের বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হেলেন দার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৬ সালের ২৮ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী। একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল মর্মে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
আসামিদের মধ্যে তামজিদ আহমেদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল, মতিন ও শাখাওয়াত আদালতে বিভিন্ন সময়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। চার্জশিটভুক্ত আসামি কাইয়ুম ও সোহেল পলাতক। মতিন জামিনে এবং বাকি চার আসামি কারাগারে রয়েছে।
মামলার চার্জশিট থেকে জানা যায়, হামলাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তাবেলা।
আমার বার্তা/এমই