সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেল-গ্রেডে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত নির্দেশনা

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫, ১১:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পাওয়ার বিষয়ে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চূড়ান্ত জয় পেয়েছেন। হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সরকারের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের ১ নম্বর বেঞ্চ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার প্রধান বাদী ও সবুজবাগ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আবদুস সালাম বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে শিক্ষক সমাজ ন্যায়বিচার পেয়েছে। অনেকেই ১৫ থেকে ২৫ বছর ধরে একই পদে থেকে আর্থিকভাবে বঞ্চিত ছিলেন।”

প্রায় ১২–১৩ বছর ধরে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন দেশের বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা চাকরির ৪, ৮ ও ১২ বছর পূর্তিতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের জন্য আবেদন করেন ২০১৩ ও ২০১৪ সালে।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপার্টমেন্টাল প্রোমোশন কমিটির (ডিপিসি) তিনটি বৈঠকে আলোচনা হলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বিরোধিতার কারণে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের ১৯ জুন দেওয়া এক পত্রে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯-এর অনুচ্ছেদ ৭(২) ও ৭(৯) অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল।

এই অবস্থায় শিক্ষক মো. আবদুস সালাম হাইকোর্টে তিনটি রিট মামলা (নং ৩৫৪৫/২০১৮, ৩৮৪৮/২০১৮ ও ৩৯২৫/২০১৮) দায়ের করেন। হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ২ মে রায়ে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯-এর ধারা অনুযায়ী শিক্ষকদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

সরকার আপিল করলেও আজ আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দিয়েছে। এখন চাকরির চার বছর পূর্তিতে ১টি সিলেকশন গ্রেড, আট বছর পূর্তিতে ১ম টাইম স্কেল এবং বারো বছর পূর্তিতে ২য় টাইম স্কেল পাবেন শিক্ষকরা।

টাইম স্কেল বাস্তবায়ন উপকমিটির সদস্য সচিব ও মাউশিতে সংযুক্ত কর্মকর্তা মাশরুরুল হক তানভীর বলেন, “আমরা আশা করি, শিক্ষাবান্ধব সরকার দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করবে।”

এ বিষয়ে নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “দীর্ঘদিন পর আদালতের রায়ে শিক্ষকরা স্বস্তি পেয়েছেন। এখন দ্রুত বাস্তবায়নই আমাদের প্রত্যাশা।”


আমার বার্তা/জেএইচ