বাংলাদেশে আইফোন ১৭ কেনার আগে যা আপনাকে জানতেই হবে
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

অ্যাপলের সর্বশেষ আইফোন ১৭ সিরিজ বিশ্বজুড়ে বাজারে ঝড় তুললেও বাংলাদেশ এখনো অফিসিয়াল লঞ্চের বাইরে। তবে এতে আগ্রহ কমেনি একটুও; বরং রাজধানীর বড় বড় মার্কেটে গ্রে ইমপোর্টের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে নতুন আইফোন। আর সেই বাজার জমে উঠেছে ক্রেতাদের ভিড়ে।
বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, টোকিও স্কয়ার কিংবা শাহ আলী প্লাজার মতো জনপ্রিয় স্মার্টফোন হাবে ইতিমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে আইফোন ১৭–এর নতুন মডেলগুলো। দাম কিছুটা বেশি হলেও ক্রেতারা দিচ্ছেন আগ্রহের প্রমাণ।
বর্তমানে আইফোন ১৭ (২৫৬ জিবি) বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। আর সর্বোচ্চ চাহিদার আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের দাম ছাড়িয়েছে ২ লাখ টাকা।
রিসেলাররা জানাচ্ছেন, সরবরাহ বাড়লে আগামী কয়েক সপ্তাহে দাম কিছুটা কমে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নামতে পারে।
বিশ্লেষকদের হিসাবে, বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে প্রায় ২.৩ মিলিয়ন বা ২৩ লাখ আইফোন ব্যবহার হচ্ছে। অর্থাৎ দেশের মোট ৭ কোটির বেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আইফোন–নির্ভর।
বসুন্ধরা সিটিতে আইফোন ১৭ কিনতে আসা অঙ্কন আহমেদ বলেন, “আমাকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার বেশি দিতে হয়েছে আইফোন ১৭ প্রো–এর জন্য। দাম অনেক বেশি, কিন্তু আর অপেক্ষা করতে পারিনি।”
প্রযুক্তি কর্মী তাহমিদ মাহমুদ বলেন, “অ্যাপলের প্রতি ভোক্তাদের আনুগত্য এতটাই শক্তিশালী যে অফিসিয়াল সাপোর্ট না থাকলেও বাংলাদেশি ক্রেতারা প্রিমিয়াম দামে কিনতে রাজি। তবে অফিসিয়াল অভিজ্ঞতা এখনো তাদের নাগালের বাইরে।”
তিনি আরও বলেন, “ভোক্তারা অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনছেন, কিন্তু বিক্রয়োত্তর সেবা বা ওয়ারেন্টির সুবিধা পাচ্ছেন না। তবুও বাজারে অ্যাপলের জনপ্রিয়তা অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেছে।”
গ্রে মার্কেট থেকে কেনা আইফোনে বেশ কিছু ঝুঁকি থেকে যায়—
কোনো অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি নেই: নষ্ট হলে অ্যাপলের সার্ভিস সেন্টারে মেরামতের সুযোগ নেই।
ভুয়া বা রিফার্বিশড হওয়ার ঝুঁকি: অনেক সময় আসল মডেলের সঙ্গে মিশে যায় নকল বা রিফার্বিশড সেট।
সফটওয়্যার আপডেটের সমস্যা: কিছু মডেলে ভবিষ্যতে সফটওয়্যার বা নেটওয়ার্ক–সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত খরচের সম্ভাবনা: অফিশিয়াল সাপোর্ট না থাকায় রিপেয়ারিং বা পার্টস বদলাতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়।
বিক্রয়োত্তর সেবা সীমিত: ট্রাবলশুটিং বা টেক সাপোর্টের জন্য ভোক্তাকে একেবারেই রিসেলারদের ওপর নির্ভর করতে হয়।
বিশ্ববাজারে আইফোন ১৭ সিরিজ বিশেষ করে চীন, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে প্রো ম্যাক্স মডেল বিক্রির শীর্ষে রয়েছে।
অফিসিয়াল লঞ্চ না থাকলেও বাংলাদেশে আইফোন ১৭–এর উপস্থিতি প্রমাণ করে দিয়েছে, দেশটি অ্যাপলের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার। গ্রে মার্কেটের উচ্ছ্বাসই দেখাচ্ছে এখানে ব্র্যান্ডটির প্রভাব কতটা গভীর।
আমার বার্তা/জেএইচ