গায়ানায় ছাত্রী হোস্টেলে আগুন, নিহত ১৯

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৩, ১২:০৪ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ আমেরিকার ছোট্ট দেশ গায়ানার একটি ছাত্রী হোস্টেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৯ ছাত্রী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ‘বিদ্বেষপ্রসূত’ হয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনের ঘটনার পর সাধারণ জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। খবর এএফপি’র।

খবরে বলা হয়, গত রোববারের আগুনে ১১-১২ এবং ১৬-১৭ বছর বয়সী মেয়েদের একটি ছাত্রী নিবাস পুড়ে যায়।

গায়ানার পুলিশ কমিশনার ক্লিফটন হিকেন গতকাল সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যায় যে ছাত্রী নিবাসটিতে বিদ্বেষপূর্ণভাবে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ হিকেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’

এদিকে গায়ানার প্রেসিডেন্ট মর্মান্তিক ঘটনায় দেশে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।

হিকেন আরো বলেন, আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা যায়নি। তবে তিনি এএফপি’কে বলেছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি আরো তথ্য পাবেন বলে আশা করছেন।

এদিকে দমকল বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগুনে ঘটনাস্থলেই ১৪ তরুণী মারা গেছে। আর পাঁচ জন মাহদিয়া জেলা হাসপাতালে মারা যায়। এরআগে সরকার গায়ানার মধ্যাঞ্চলীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগুনে ২০ জন মারা যাওয়ার কথা বলেছিল।

ফায়ার ব্রিগেড জানায়, আগুনে দগ্ধদের মধ্যে দুই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরো চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর।

খবরে বলা হয়, আগুন লাগার সময় ভবনের ভেতরে ৬৩ জন শিক্ষার্থী ছিল।

গতকাল সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে হিকেন বলেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জনের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং তাদের সকলের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, দমকল বাহিনীর কর্মীরা ভবনটির উত্তর-পূর্ব দেওয়াল ভেঙ্গে প্রায় ২০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

নিহতদের প্রায় ৫০ আত্মীয় ও বন্ধু সোমবার মাহদিয়ার নিকটবর্তী গ্রাম চেনাপাউতে বিক্ষোভ করে। ওই গ্রামে স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীর বাড়ি। দক্ষিণ আমেরিকার ছোট এই দেশটিতে মাত্র ৮ লাখ লোকের বসবাস। একমাত্র ইংরেজিই এই দেশের সবার ভাষা। সাবেক ডাচ ও ব্রিটিশ উপনিবেশ দেশটির মাথাপিছু তেলের মজুত বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এবি/ জিয়া