কাশ্মীর ও সিন্ধুর পানি ইস্যুতে জাতিসংঘে ভারতকে ধুয়ে দিল পাকিস্তান
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে সংঘটিত সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের পর থেকে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। কাশ্মীর ও সিন্ধুর পানি চুক্তি ইস্যুতে প্রায়ই পাল্টাপাল্টি আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিতে দেখা যাচ্ছে চিরবৈরী এ দুই দেশের নেতা ও শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদেরকে।
এবার বিতর্কিত এ দুই ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতকে এক কথায় ধুয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। খবর জিও নিউজের।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তান মিশনের কাউন্সিলর এবং রাজনৈতিক সমন্বয়কারী গুল কায়সার সারওয়ানি জোরালো কণ্ঠে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়, ছিলও না এবং হবেও না।
তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের ভূখণ্ড নয় এবং এটি কখনই ভারতের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না। জম্মু ও কাশ্মীর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিতর্কিত অঞ্চল। এটি কেবল পাকিস্তানের নয়; এটি জাতিসংঘেরও বিষয়।
সারওয়ানি বলেন, ভারত নিজেই বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদে নিয়ে গেছে এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোটের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অনুমতি দেয়ার বাধ্যবাধকতা মেনে নিয়েছে। কিন্তু প্রায় আট দশক পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি অপূর্ণ রয়ে গেছে। অথচ তার পরিবর্তে, ভারত বিশাল সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখে, মৌলিক স্বাধীনতা দমন করে, স্বাধীন কণ্ঠস্বরকে রোধ করে এবং ভূখণ্ডের জনসংখ্যাগত চরিত্র পরিবর্তনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে – যা আন্তর্জাতিক আইন এবং দখলদার শক্তি হিসেবে তার আইনি বাধ্যবাধকতার চরম লঙ্ঘন।
এছাড়া, সিন্ধু পানি চুক্তি সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের এ প্রতিনিধি বলেন, সিন্ধু পানি চুক্তি সম্পর্কে ভারতের মন্তব্য তথ্যের ইচ্ছাকৃত বিকৃতি এবং একটি বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তির ভুল ব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। সিন্ধু পানি চুক্তির কোনো বিধানই একতরফা স্থগিতাদেশ, পরিবর্তন বা তথাকথিত স্থগিত রাখার অনুমতি দেয় না। এই ধরনের পদক্ষেপ সংকীর্ণ রাজনৈতিক লাভের জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের শামিল।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে পহেলগাম হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি সংঘাত শুরু হয়। এরপর ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্তগিত করে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
আমার বার্তা/জেএইচ
