মৃত্যুদণ্ড মানবাধিকার লঙ্ঘনকে আরও বাড়িয়ে দেয়
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ‘ন্যায়সঙ্গত’ হয়নি দাবি করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, মৃত্যুদণ্ডের বিধানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আরও বেড়ে যায়।
মানবাধিকার সংস্থাটি মনে করে, ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ায় মৃত্যুদণ্ডের ‘কোনো স্থান নেই’।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সোমবার শেখ হাসিনা ও তার সময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সাজা হয় পাঁচ বছরের।
এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, “জুলাই আন্দোলনে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যারা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী, তাদের ন্যায়সঙ্গত বিচার ও তদন্ত হওয়াটা জরুরি। তবে এই বিচার ও শাস্তি—কোনোটিই ন্যায়সংগত বা সুবিচার নয়।
তিনি বলেন, “ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার প্রয়োজন, কিন্তু মৃত্যুদণ্ড আরোপ করা মানবাধিকার লঙ্ঘন আরও বাড়িয়ে দেয়। এটি নিষ্ঠুর, অপমানজনক ও অমানবিক শাস্তির চূড়ান্ত রূপ এবং কোনো ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ায় এর স্থান নেই।”
ক্যালামার্ড বলেন, এই বিচার এমন একটি আদালতে হয়েছে, যার স্বাধীনতার অভাব এবং অস্বচ্ছতা নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করে আসছে।
“এছাড়া আসামিদের অনুপস্থিতিতে হয়নি। অতি বিচারকাজের অতিরিক্ত গতি এবং রায় ন্যায়বিচার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করে।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার পক্ষে আদালত নিযুক্ত একজন আইনজীবী ছিলেন বটে, কিন্তু মামলায় লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় পায়নি।”
আমার বার্তা/জেএইচ
