
এক দশকেরও বেশি সময় পর যুক্তরাজ্যে সিরিয়ার দূতাবাস পুনরায় চালু হয়েছে । বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) লন্ডনের বেলগ্রেভ স্কয়ারস্থ দূতাবাস ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে সেবা চালুর ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্য সফররত সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি।
দূতাবাস পুনরায় খোলার মুহূর্তে ভবনের বাইরে সিরিয়ার পতাকা নেড়ে, স্লোগান দিয়ে এবং ঐতিহ্যবাহী সংগীতের তালে নৃত্য করে উল্লাস প্রকাশ করে শত শত মানুষ।
২০১২ সালে হাউলা গণহত্যায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের হত্যার পর যুক্তরাজ্যসহ ১১টি পশ্চিমা দেশ সিরিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে এবং দূতাবাসগুলো বন্ধ করে দেয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক ক্ষোভের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারকে উৎখাত করে। এরপর থেকে নতুন প্রেসিডেন্ট শারার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুনরায় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।
লন্ডনে দূতাবাস পুনরায় খোলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তনের সূচনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাইবানি। এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, বহু বছরের বিচ্ছিন্নতার পর স্বাধীন পরিচয় নিয়ে সিরিয়া আবারও বিশ্বমঞ্চে ফিরে আসছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
আমার বার্তা/এল/এমই

