ফিলিপিন্সের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফেংশেন, চলছে জোর প্রস্তুতি

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ফিলিপিন্সের দিকে ধেয়ে আসছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ফেংশেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড়টির মোকাবিলায় জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ফিলিপিন্সের প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী ক্যাটানডুয়ানেস দ্বীপ থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি এই মুহূর্তে ফিলিপিন্সের সামার আইল্যান্ডের উপকূল থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এবং ক্যাটানডুয়ানেস দ্বীপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্রস্থলটি আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ঘণ্টায় ৮০ কিমি (৫০ মাইল) বেগে ২ লাখ ৭০ হাজার জনসংখ্যার দ্বীপটি অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
 
ঘূর্ণিঝড় ফেংশেনের প্রভাবে ফিলিপিন্সের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ১-২ মিটার (৩-২ ফুট) ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্বীপের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ৯ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
 
ফিলিপিন্সের আবহাওয়া বিভাগ ফিলিপাইন অ্যাটমোস্ফেয়ারিক, জিওফিজিক্যাল অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (পাগাসা) জনসাধারণকে বন্যা, ভূমিধস ও ঝড়ের কারণে সৃষ্ট ঢেউসহ বিভিন্ন বিপদের জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
 
স্থানীয় কর্মকর্তা গেরি রুবিও বলেন, ক্যাটানডুয়ানেস প্রাদেশিক সরকার স্থানীয় কর্মকর্তাদের উপকূল, নিম্নভূমি ও ভূমিধস-প্রবণ ঢালসহ ‘উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার’ বাসিন্দাদের জন্য ‘তাদের নিজ নিজ স্থানান্তর পরিকল্পনা সক্রিয় করার’ নির্দেশ দিয়েছে।
 
পার্শ্ববর্তী প্রদেশ সোরসোগন ও অ্যালবেও স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই এলাকাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। ফিলিপিন্সে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে। নিয়মিতভাবে দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। ঘূর্ণিঝড় ফেংশেন চলতি বছরের ১৮তম ঝড়। 
 
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের এই গ্রহ উষ্ণ হওয়ার সাথে সাথে ঝড় অধিকতর শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ফিলিপিন্সে গত তিন সপ্তাহে একাধিক বড় ভূমিকম্পের কারণে কমপক্ষে ৮৭ জন প্রাণ হারিয়েছে।

আমার বার্তা/এল/এমই