হিজাব পরা এক ছাত্রীকে প্রবেশে বাধা দেয়ায় ভারতে রাজনৈতিক বিতর্ক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

হিজাব পরা অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রবেশে বাধা দেয়ার পর রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে কেরালার এরনাকুলাম জেলার খ্রিস্টান-পরিচালিত একটি স্কুল।
পল্লুরুথির সেন্ট রিটা’স পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, হিজাব তাদের ‘ড্রেস কোড’ লঙ্ঘন করেছে এবং মেয়েটিকে এজন্য তা খুলে ফেলতে বলা হয়।
আর ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেছে, ‘এই স্কুল আমাকে হিজাব পরতে দিচ্ছে না। তারা আমাকে প্রবেশপথে (শ্রেণিকক্ষের) দাঁড় করিয়ে হিজাব খুলে ফেলতে বলেছে। শিক্ষকরা খারাপ আচরণ করেছেন। আমি এখানে পড়ব না।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় অভিভাবকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিবাদ শুরু হয় এবং পরে অভিভাবক-শিক্ষক সমিতিও (পিটিএ) এতে জড়িয়ে পড়ে।
পিটিএ সভাপতি জোশি কাইথাভালাপিল এনডিটিভির কাছে দাবি করেন, হিজাব পরা এক ছাত্রী ‘খ্রিস্টান-পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণের’ সূচনা করে।
তিনি আরও দাবি করেন, ওই ছাত্রীর বাবা-মা সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার (এসডিপিআই) সমর্থক– একটি রাজনৈতিক দল যাদের ইসলামপন্থি হিসেবে দেখা হয় এবং বর্তমানে ‘নিষিদ্ধ’ পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার সাথে যুক্ত।
কাইথাভালাপিল এনডিটিভিকে বলেন, ‘এসডিপিআই কর্মীরা এর পেছনে আছে। তাদের দলের সদস্যরা এটি কার্যকর করতে এসেছিলেন... (এবং) তারা অভিভাবকদের চেয়ে স্কুলের ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করেন।’
প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৭ অক্টোবর ওই ছাত্রীকে প্রথমবারের মতো হিজাব পরা অবস্থায় থামানোর পর বিতর্কটি তীব্র আকার ধারণ করে। ৩ দিন পর তাকে আবার থামানো হয়। এরপরই তার বাবা এবং আরও কয়েকজন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদে জড়ায়।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা জানান, তার মেয়ে চার মাস ধরে কোনো সমস্যা ছাড়াই হিজাব পরে আসছিল, যদিও হিজাব সাধারণত যেভাবে পরা হয় (পিন করে) সেভাবে নয়। সে হিজাবটি তার মাথার ওপর শালের মতো ব্যবহার করতো।
তবে স্কুলের অধ্যক্ষ সিস্টার হেলেনাকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভর্তির সময় সব অভিভাবককে ‘ড্রেস কোড’ সম্পর্কে বলা হয়েছিল। ওই ছাত্রী ‘চার মাস ধরে স্কুলের ড্রেস কোড অনুসরণ করেছে... কিন্তু, একদিন হঠাৎ সে কোডটি লঙ্ঘন করে (হিজাব পরে)।’
সূত্র: এনডিটিভি
আমার বার্তা/এল/এমই