১৭ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, ‘দিল্লির বাবাকে’ হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির অভিজাত বসন্ত কুঞ্জ এলাকার একটি সুপরিচিত আশ্রমের পরিচালকের বিরুদ্ধে বড় ধরনের এক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। ১৭ জন ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই ‘দিল্লির ওই বাবাকে’ হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন হেনস্তার অভিযোগে শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টের স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী ওরফে পার্থ সারথির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল (ইডব্লিউএস) ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে স্নাতকোত্তর ম্যানেজমেন্ট ডিপ্লোমা কোর্সে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের হয়রানি করতেন তিনি।
পুলিশ জানায়, অন্তত ৩২ জন ছাত্রীর মধ্যে ১৭ জন অভিযোগ করেন, স্বামী চৈতন্যানন্দ তাদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেছেন, অশালীন বার্তা পাঠিয়েছেন এবং জোরপূর্বক শারীরিকভাবে তাদেরকে স্পর্শ করেছেন। নারী শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও স্বামী চৈতন্যানন্দের চাহিদা পূরণে তাদেরকে চাপ দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, অভিযুক্তের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল আশ্রমে কর্মরত কিছু ওয়ার্ডেন। তাদের এসকল অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার উপপুলিশ কমিশনার অমিত গোয়েল।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার স্থান ও অভিযুক্তের ঠিকানায় ইতোমধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তবে এখনও অভিযুক্ত ‘বাবাকে’ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র বলছে, সর্বশেষ তাকে আগ্রার কাছে দেখা গেছে। তাকে খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশের একাধিক পুলিশ টিম।
তদন্তে পুলিশ অভিযুক্তের ব্যবহৃত একটি ভলভো গাড়ি ইনস্টিটিউটটির বেসমেন্ট থেকে জব্দ করেছে। যাচাই করে দেখা গেছে, গাড়িটিতে জাল কূটনৈতিক নম্বরপ্লেট (৩৯ ইউএন ১) ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর চৈতন্যানন্দকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে আশ্রম প্রশাসন। এছাড়া বহিষ্কারও করা হয়েছে তাকে।
প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনাকারী দক্ষিণম্নয় শ্রী শারদা পীঠ, শ্রীঙ্গেরি একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, স্বামী চৈত্যানন্দের আচরণ ও কার্যকলাপ অবৈধ, অনুপযুক্ত এবং পীঠদের স্বার্থের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্নেরও ঘোষণা দিয়েছে তারা।