ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি
ইসরায়েলকে প্রতিশোধ না নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করলো যুক্তরাজ্য
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:১১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলকে প্রতিশোধ না নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করলো যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করলে তা বরদাশত করা হবে না। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে যোগদানের আগে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
কুপার বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি, এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। এটি শান্তি, ন্যায় এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, উভয়পক্ষের চরমপন্থিরা দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাতিল করতে চায়। এটি পুনরুজ্জীবিত করা যুক্তরাজ্যের নৈতিক দায়িত্ব।
তবে পূর্ব জেরুজালেমে যুক্তরাজ্যের কনস্যুলেট জেনারেল কখন একটি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসে পরিণত হবে তা বলেননি কুপার।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, কুপার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য একটি আন্তর্জাতিক সমঝোতার কাঠামো গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাবেন। ফ্রান্স এবং সৌদি আরব যৌথভাবে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথ নির্ধারণের বৈঠক পরিচালনা করবে, যেখানে বেলজিয়ামও অংশগ্রহণ করবে।
এর আগে, গত রোববার কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের সঙ্গে যৌথভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এটি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন। ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশও একই ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি একে ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য বিশাল পুরস্কার’ বলে মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপকে হামাসের জন্য ‘কূটনৈতিক উপহার’ বলে মন্তব্য করেছে।
বর্তমানে জাতিসংঘের প্রায় ৭৫ শতাংশ সদস্য রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্ত, রাজধানী ও সেনাবাহিনী না থাকায় এই স্বীকৃতি প্রতীকী পর্যায়ে সীমাবদ্ধ। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের অব্যাহত সম্প্রসারণই তাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অন্যতম কারণ।
আমার বার্তা/জেএইচ