জাতিসংঘের নেতৃত্বে অবিলম্বে ত্রাণ সরবরাহ শুরুর আহ্বান কানাডার

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় জাতিসংঘের নেতৃত্বে অবিলম্বে ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ চালু করার আহ্বান জানিয়েছে কানাডা। সেই সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীদের ওপর হামলা বন্ধের নিন্দা জানিয়েছে দেশটি।

গাজায় চরম খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আহ্বান জানায়।
 
এক্স-এ প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মী ও স্থাপনা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ত্রাণ বহরে ইসরাইলি সামরিক অভিযান এবং জরুরি খাদ্য ও পানির সন্ধানে থাকা ফিলিস্তিনিদের চলমান হত্যাকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য।
 
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গাজায় ক্ষুধা ও খাদ্য সংকট ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে.. কানাডা জাতিসংঘের নেতৃত্বে অবিলম্বে ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচি পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছে।’
 
খাদ্যের অভাবে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে গাজায়। অনাহারে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপত্যকাজুড়ে অনাহারে আরও অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে গত ২০ মাসে অপুষ্টিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১১ জনে যার বেশিরভাগই গত কয়েক সপ্তাহে মারা গেছে।
 
এ অবস্থায় জাতিসংঘসহ ১১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থা একযোগে দাবি জানিয়েছে, অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আরও বলেছে, এই অবরোধ না ভাঙলে সামনে অপেক্ষা করছে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ।
 
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য সংকট ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। উপত্যকার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ দিনে একবারও খেতে পারছেন না। দ্রুত ত্রাণ না পেলে বিপুল সংখ্যক নারী-শিশু প্রাণ হারাবে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
 
তবে গাজার এমন অবস্থার দায় হামাসের ওপর চাপিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের দাবি, তাদের সেনারা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চলছে। উল্টো হামাসই ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করছে। যদিও হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সংকটের মূল কারণ ইসরাইলি অবরোধ ও ত্রাণ কেন্দ্রের বাইরে হামলা।
 
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে একটি সংস্থা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজার কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ করছে। তবে ত্রাণ সহায়তা প্রার্থীদের ওপর প্রতিদিনই গুলি চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত সহস্রাধিক ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

 

আমার বার্তা/এল/এমই