গাজা উপত্যকায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে আরও এক শিশুর মৃত্যু
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৫, ১৩:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মূলত গণহত্যামূলক আগ্রাসনের মধ্যে ইসরায়েলের আরোপিত মানবিক সহায়তা অবরোধ ক্রমেই গভীরতর বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে অঞ্চলটিকে।
এমনটাই জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ৪ বছর বয়সী রেজ্জান আবু জাহির অপুষ্টিজনিত জটিলতায় মারা গেছে। গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর পেছনে প্রধান কারণ ছিল ক্ষুধা ও দীর্ঘদিনের অপুষ্টি।
ওয়াফার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে শত শত মানুষ — ছোট-বড় সবাই — চরম ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত বিছানা বা ওষুধ কিছুই হাসপাতালগুলোতে নেই।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজায় বর্তমানে প্রায় ১৭ হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টির শিকার। শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও ক্ষুধা ও নিরাপত্তাহীনতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা। অনেকেই চরম মানসিক চাপ ও স্মৃতিভ্রষ্টতার মতো সমস্যায় ভুগছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর আগেই সতর্ক করেছিল, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র তিন মাসে গাজায় পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি সরাসরি ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়াকে দায়ী করেছে।
মূলত চলতি বছরের মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে এবং ওষুধ ও খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে চিকিৎসা, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে সামরিক আগ্রাসনের পাশাপাশি “ক্ষুধা নীতি” অনুসরণ করে মানবিক দুর্যোগকে আরও গভীর করেছে তারা।
আমার বার্তা/জেএইচ