সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

শিশুদের গুঁড়া দুধ খাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ অনেকেই জড়িত; এটা নিয়ে দোষারোপ না করে সমন্বিতভাবে মাতৃদুগ্ধের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই। যেখানে দুই হাজার ৬০০ রোগীর ধারণক্ষমতা, আসে পাঁচ হাজার। এক হিসাব অনুযায়ী, ৬৫ শতাংশ ডেলিভারি হয় ক্লিনিকে এবং ৩৫ শতাংশ গৃহে। গৃহে ধাত্রীরা যে করেন (ডেলিভারি) তারা কতটুকু প্রশিক্ষিত? তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। সব সীমাবদ্ধতা সম্মিলিতভাবে ওভারকাম করতে হবে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাচধানীর সিরডাপ অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, মাতৃদুগ্ধ নিয়ে কাজ সরকার বা স্বাস্থ্য সেক্টরের এককভাবে নয়, এনজিওকর্মী থেকে শুরু করে মসজিদের ইমামেরও। খুতবায় সমাজের সমস্যা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। এমনকি মন্দির, গির্জায় সচেতনতামূলক আলোচনা হতে পারে। এখানে মিডিয়ারও দায়-দায়িত্ব আছে। মিডিয়া আমাদের কাজগুলো, সচেতনতা প্রোগ্রামগুলো উপস্থাপন করে জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে।
নূরজাহান বেগম বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটির কথা আসছে। আমি জানি না এটাতে মায়েরা রাজি হবেন কি না। কতজন বাবা ছুটি নিয়ে পরিবারে গিয়ে সময় দেবেন? নাকি উল্টো এমন হবে, ছুটি নিয়ে বাসায় থাকলে তার সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার এগুলো দিতে গিয়ে মায়ের আরও চাপ বাড়বে? আমি তো মা হয়ে এখানে আসছি। আমি এভাবে ছুটি দেওয়ার পক্ষে না। তবে যদি নিশ্চিত করা যায় তারা পরিবারে সময় দেবেন, বাচ্চার কেয়ার করবেন, বাচ্চার মায়ের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন, তাহলে ভেবে দেখা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা সেবা নিতে জানি, দিতে জানি না। নিজে থেকে সেবা করার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শিশু ভালো দুধ পাবে। মায়ের স্বাস্থ্য প্রত্যেকের নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে আইন আছে, কিন্তু আইন পালনের বাধ্যবাধকতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সরোয়ার বারী বলেন, মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ে তুলতে চাইলে মাতৃদুগ্ধ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। মাতৃদুগ্ধের হার ৬৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে। মায়ের দুধ শিশুর জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।
কর্মশালায় আরও বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহামদ, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. এস কে রায়।
অনুষ্ঠানে মাতৃদুগ্ধের ওপর গুরুত্ব এবং গুঁড়া দুধের অপকারিতা সম্পর্কে একাধিক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
আমার বার্তা/এমই