নকল ওষুধ চিনবেন যেভাবে
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

দেশে বছরে প্রায় ২৫ হাজার রকমের ওষুধ তৈরি হয়। এর মধ্যে মাত্র ৪ হাজার ওষুধ পরীক্ষা করে দেখার সামর্থ্য আছে সরকারের। ফলে বিপুল পরিমাণ ভেজাল, নকল বা নিম্নমানের ওষুধ বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে দেশে।
আসল-নকল ওষুধ চেনার জন্য কিছু উপায় রয়েছে। পণ্যের প্যাকেজিং, লোগো, বারকোড, এবং সিলগুলো ভালোভাবে দেখে নিন। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, ওয়েবসাইটে গিয়ে সিরিয়াল নম্বর মিলিয়ে নিতে পারেন।
ভেজাল বা নকল ওষুধ শনাক্তে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকেরও দায়িত্ব রয়েছে। একজন নাগরিক যখন ওষুধ কিনতে যান তখন তিনি খুব সহজেই সেটি যাচাই করে নিতে পারেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পণ্য যাচাই-বাছাই করা ভোক্তার অধিকার। কেউ যাচাই-বাছাইয়ে বাধা দিলে তার শাস্তির বিধান রয়েছে।
মেডিকেল স্টোরে পাওয়া প্রতিটি ওষুধ আসল কি-না তার কোনো গ্যারান্টি নেই। নকল ওষুধ খেলে সেরে ওঠার পরিবর্তে নিজেদের আরও অসুস্থ করে তোলে রোগীরা। ওষুধের প্যাকেজিং দেখে মানুষ প্রায়শই প্রতারিত হয়। কারণ আজকাল নকল ওষুধও হুবহু আসল ওষুধের মতো দেখতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে আসল এবং নকল ওষুধ সনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
নকল ওষুধ চেনার উপায় নিচে দেওয়া হলো-
প্যাকেজিং, তারিখ
নকল ও আসল ওষুধ সনাক্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল প্যাকেজিং মনোযোগ সহকারে দেখা। আসল ওষুধের প্যাকেজিং নিখুঁত অবস্থায় ও ব্র্যান্ডের লোগো সহ আসে। কিন্তু নকল ওষুধের প্যাকেজিংয়ের প্রিন্ট হালকা বা ঝাপসা হতে পারে। ব্র্যান্ডের লোগোটি দেখতে একটু অদ্ভুত বা বাঁকা লাগতে পারে। আসল ওষুধের গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, ব্যাচ নম্বর এবং এমআরপি স্পষ্টভাবে লেখা থাকে।
কিউআর কোড
আসল ওষুধের গায়ে একটি হলোগ্রাম বা কিউআর কোড থাকে, যা স্ক্যান করে ওষুধের সত্যতা জানা যায়। এ জন্য আপনাকে আপনার মোবাইলের স্ক্যানার খুলে ওষুধে উপস্থিত কিউআর কোডটি স্ক্যান করতে হবে। এটি স্ক্যান করার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের সঙ্গে সম্পর্কিত মূল কোম্পানির নাম, উৎপাদনের তারিখ, ব্যাচ নম্বর এবং অন্যান্য বিবরণ আপনার ফোনে দেখতে পাবেন।
যদি স্ক্যান করার সময় কোনো তথ্য প্রদর্শিত না হয় বা ভুল বিবরণ প্রদর্শিত হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে ওষুধটি নকল। আসল ওষুধের কিউআর কোড সর্বদা অ্যক্টিভ থাকে ও তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য দেখিয়ে দেয়। যারা নকল ওষুধ তৈরি করেন, তারা হয় কিউআর কোড অ্যাড করেন না অথবা স্ক্যান করার সময় এটি কাজ করে না।
ওষুধের রং, আকার
ওষুধ কেনার পর বাড়িতে গিয়ে যখন সেটি খাবেন বা ব্যবহার করবেন তখন খেয়াল করুন, ওষুধের রং, আকার, গঠন নিয়ে কোনো সন্দেহ আছে কিনা। ওষুধের কোথাও কোনো ভাঙা অংশ রয়েছে কি না, গুঁড়ো ওষুধের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে দেয়া আছে কি না এসব ভাল করে দেখুন। সন্দেহ হলে সেটি এড়িয়ে চলুন।
ওষুধ শক্তি বা নরম কিনা
ওষুধটি যদি ক্রিস্টালের মতো হয় তাহলে আগের কেনা ওষুধের মতো শক্তি বা নরম কিনা দেখুন। ওষুধের ভেতরে কোথাও ফোলা অংশ বা দাগ থাকলে সেই ওষুধ এড়িয়ে চলতে হবে।
ওষুধের দাম কম বা বেশি
ওষুধের দাম আপনার কাছে অসম্ভব কম বা বেশি হলে সেটি সন্দেহের একটি কারণ। নকল বা ভেজাল ওষুধ আসল ওষুধ থেকে কম দামে বিক্রি হতে পারে। এমন সন্দেহ হলে সেই দোকান থেকে ওষুধ না কেনাই ভাল।
আমার বার্তা/এল/এমই