সমালোচনার জবাব দিলেন দীপিকা পাড়ুকোন

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত

কথা ছিল মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে একের পর এক সিনেমার খবরের শিরোনাম হবেন দীপিকা পাড়ুকোন। কিন্তু তা হচ্ছে কই! বরং একের পর এক বিতর্কের কেন্দ্রে তিনি। শুটিংয়ের সময় ও পারিশ্রমিক নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে সম্প্রতি দুই সিনেমা থেকে বাদ পড়েছেন দীপিকা। এ নিয়ে এত দিন চুপ ছিলেন অভিনেত্রী, সম্প্রতি দিয়েছেন জবাব।

গত সেপ্টেম্বরে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমার সিকুয়েল থেকে দীপিকার বাদ পড়ার খবর আসে। এ সিনেমার প্রথম পর্বে প্রশংসিত হওয়ায় দ্বিতীয় পর্বেও তাঁর থাকার কথা ছিল। তবে তাঁকে বাদ দিয়েছে বৈজয়ন্তী মুভিজ। জানা গছে, কল্কি ২৮৯৮ এডি সিনেমার প্রথম পর্বে যে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন দীপিকা, দ্বিতীয় পর্বে ২৫ শতাংশ বেশি দাবি করেছিলেন। এ ছাড়া প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং করবেন না, এমন শর্তও দিয়েছিলেন।

দীপিকার চাহিদার তালিকা এখানেই শেষ নয়। শুটিংয়ে অভিনেত্রী শুধু একাই আসেন না, তাঁর সঙ্গে থাকে ২৫ জন সহকারীর একটি বড় দল। তাঁদের সবাইকে পাঁচ তারকা হোটেলে রাখতে হবে, দিতে হবে খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে যাতায়াতের যাবতীয় খরচ। দীপিকার এসব দাবি পূরণ করতে চাননি কল্কির প্রযোজক।

অতিরিক্ত চাহিদার কারণে এ বছর আরও একটি সিনেমা থেকে বাদ পড়েছেন দীপিকা। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল তাঁর। এ সিনেমার ক্ষেত্রেও কিছু শর্ত দিয়েছিলেন দীপিকা। যেমন দিনে আট ঘণ্টার বেশি শুটিং করবেন না। ২০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক ছাড়াও দিতে হবে সিনেমার ব্যবসার লভ্যাংশ।

দীপিকার এই আট ঘণ্টা কাজের শর্ত এবং অতিরিক্ত চাহিদা নিয়ে যখন ব্যাপক সমালোচনা চলছে, তখন মুখ খুললেন অভিনেত্রী। ব্রুট ইন্ডিয়াকে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের শর্ত বা চাহিদা আরও অনেকেই দিচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে। আমিই প্রথম নই। বলিউডে আরও অনেক তারকা আছেন, বিশেষ করে পুরুষ তারকা, যাঁরা অনেক বছর ধরে দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি শুটিং করেন না। কিন্তু কখনো তাঁদের শর্তগুলো নিয়ে সমালোচনা হয় না।’

দীপিকার অভিযোগ, বলিউডে শুটিংয়ের পরিবেশ তাঁর মতো প্রথম সারির তারকাদের ক্ষেত্রেও উপযুক্ত নয়। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না, আমি যা চাইছি, তা অন্যায্য। বলিউডে যাঁরা কাজ করেন, শুধু তাঁরাই বুঝতে পারবেন, কোন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। একজন প্রথম সারির তারকা হয়েও আমি এসব সুবিধা পাচ্ছি না। তাহলে অন্যদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কতটা শোচনীয়, সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।’


আমার বার্তা/এমই