প্রাথমিক বিদ্যালয়: সংগীত শিক্ষক পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি উদীচীর
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগব্যবস্থা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। সেই সঙ্গে সংগঠনটি এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতা, মানবিক বোধ, দলগত চেতনা ও শারীরিক-মানসিক ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশের জন্য সংগীতচর্চা, শিল্পকলা ও ক্রীড়া শিক্ষা অপরিহার্য।
বিবৃতিতে বলা হয়, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে শিশুদের সৃজনশীল ও মানসিক বিকাশের জন্য সংগীত, শিল্প ও শরীরচর্চাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষাকে শুধু পরীক্ষাভিত্তিক করে ফেললে তা শিক্ষার্থীদের মনন, অনুভূতি ও মানবিক বিকাশকে সীমাবদ্ধ করে দেয়।
উদীচীর মতে, সংগীত ও শিল্পচর্চা মানুষকে মুক্তভাবে ভাবতে শেখায়, অনুভূতির শক্তি জাগিয়ে তোলে এবং সহমর্মিতা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে ক্রীড়া শিক্ষা শিশুর আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও দলগত সমন্বয় বৃদ্ধি করে। এ দুই বিষয় বাদ দিলে প্রাথমিক শিক্ষার কাঠামো হবে বিকলাঙ্গ ও মানবিকতাবিহীন।
সংগঠনটি আরও বলেছে, বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক চেতনার সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত সাংঘর্ষিক। শিশুদের শিল্প-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে দিলে তাদের সৌন্দর্যবোধ, কল্পনাশক্তি ও মানবিক অনুভূতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার প্রভাব পড়বে সমাজ ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ চরিত্রে।
বিবৃতিতে উদীচী নেতারা বলেন, যারা ছোটবেলা থেকে সুর ও সংগীতের সাধনায় বড় হয়, তারা শুভবোধে উদ্দীপ্ত থাকে, মন্দের পথে ধাবিত হয় না। বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের অংশ এ সংগীতচর্চা জাতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ।
উদীচী তাই সরকারের কাছে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার বিষয় পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই
