এবারের এমবিবিএস-ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরনে সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে: অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল হোসেন
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৩০ | অনলাইন সংস্করণ
অনক আলী হোসেন শাহিদীঃ

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক “অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল হোসেন বলেছেন- “আমাদের মৌলিক লক্ষ্য দেশে মানবিক, পেশাদার ও দায়িত্বশীল চিকিৎসক তৈরী করা। এই লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছি। এবারে এম বি বি এস ভর্তি পরীক্ষার অংশগ্রহন কারী ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে- রোগীর প্রতি দায়িত্বশীল, মানবিক ও পেশাদারিত্ব নিয়ে মহানুভব আচরন করতে পারে- এমন কিছু প্রশ্ন সংযোজন করা হতে পারে। সাধারন জ্ঞানে-শতকরা ১০ নম্ব এর সাথে এমন ধরনের শতকরা ৫ নম্বর মানের প্রশ্ন যুক্ত হতে পারে- যাতে ভর্তিতে উর্ত্তীন ছাত্র ছাত্রীরা দায়িত্বশীল ও পেশাদায়িত্বের প্রশ্নে আপোষহীন হতে পারে- প্রশ্নপত্র প্রনয়নের সাথে যুক্ত অভিজ্ঞরা এমন মতামত দিয়েছেন- আমরা সেই মতামত কে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি”- অতি সম্প্রতি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল হোসেন- এই প্রতিনিধিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “আমরা সব সময় এমন চিকিৎসক তৈরী করতে চাই- যেন মৃত্যুপথযাত্রী সংকটপূর্ন কোন রোগী চিকিৎসকের সামনে এসে জীবনের নিরাপত্তা পেয়েছি- এমনটা অনুভব বোধ করে। সে যেন অনুভব করে- আমি বাঁচতে চাই, আমি অবশ্যই বাঁচবো, যদি মহান আল্লাহ আমাকে হায়াৎ দান করেন”।
তিনি বলেন-“আমরা এমন চিকিৎসক তৈরী করতে চাই- কোন রোগী যেন সংশ্লিক চিকিৎসকের আচরনে স্বস্থ্যি বোধ করে- এমন কিছু দায়িত্বশীল ও মানবিক প্রশ্ন যুক্ত হতে পারে এম বি বি এস ভর্তি পরীক্ষায় যার মান হবে শতকরা ৫ নম্বর তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে কোন সর্ম্পক নেই এমন প্রশ্ন করা হবেনা” এ নিয়ে মোট শতকরা ১৫ নম্বরের প্রশ্ন সংযোজন করা হবে।
তিনি বলেন- “এম বি বি এস ভর্তি পরীক্ষায়- মুখস্ত বিদ্যার প্রভাব বেশী, সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারে- এমন প্রশ্নই- সংযোজন করা হবে। তবে সব প্রশ্নই হবে এম সিকিউ (গঈছ) পদ্ধতিতে। শতকরা ৫ নম্বর মানের মধ্যে তাৎক্ষনিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় নিতে- ঐ প্রশ্ন সংযোজন করা হতে পারে।”
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “জীবন মৃত্যু মহান আল্লাহর হাতে। প্রতিটি রোগী চিকিৎসকের নিকট আসে বাঁচার উদ্দেশ্যে। সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক যেন তার দায়িত্বশীল কাজে নিজেকে নিরাপরাধ অনুভব করে, এমন চিকিৎসক তৈরীতে আমরা কাজ করছি। প্রতিটি মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়- কর্তপক্ষকে আমরাসরকারের পক্ষ্যে সেই নির্দেশনা প্রদান করে আসছি। চিকিৎসা একটি মহান পেশা, দায়িত্বশীল মানবিক পেশা- এই সত্য যেন প্রতিজন ছাত্র ছাত্রী হৃদয়ে ধারন করতে পারে সেই নির্দেশনা প্রদান করে আসছি। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার সবকিছু করছে”। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল হোসেন বলেন- “স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত চিকিৎসা শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের মান নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এ ছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে গবেষনা, প্রকাশনা, শিক্ষাক্রম, উন্নয়ন প্রশিক্ষনসহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান নিয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া নীতি ও পরিকল্পনা প্রনয়নে- স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি”।
তিনি বলেন- “ মেডিকেল কলেজ সমূহে এম বি বি এস ভর্তি পরীক্ষা একটি অতি গুরুত্বপূন কার্যক্রম। সর্ব্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করে- পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রনয়ন করা হচ্ছে। সরকারী বেসরকারী মেডিকেল কলেজে একই প্রশ্নমানে কিছু পরিবর্তন আনার চিন্তাভাবনা চলছে। যা আপনাকে ইতোমধ্যে বলেছি”।
পবিশেষে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল হোসেন বলেন- “স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর- ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগ গঠনের পর থেকে কাজ শুরু করেছে। এ অধিদপ্তর ২০১৯ সারের ২৪ নভেম্বর থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর হিসেবে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। এ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকল মেডিকেল কলেজ ও প্রতিষ্ঠান সমূহ সর্বাত্ত্বক সহযোগিতা করছে। আমি সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি”।
আমার বার্তা/এল/এমই
