এনটিআরসিতে ১ থেকে ১২ তম নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকদের অবস্থান
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ১৪:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

এনটিআরসিএতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ১ থেকে ১২তম নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকরা।
আজ সোমবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন রোডের বোরাক টাওয়ারে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর সামনে তারা অবস্থান নেন।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকরা সকাল থেকেই এনটিআরসিএ-এর সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যের সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়।
শিক্ষকদের অভিযোগ, এনটিআরসিএ-এর সুপারিশকৃত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য চিঠি আদান প্রদান করা হলেও এখন পর্যন্ত কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই নিয়োগ দিতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে তারা অবস্থান করছেন। কর্মসূচিটি পূর্বঘোষিত বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
নাটোর থেকে আসা নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক মো. কামরুল হাসান বলেন, আমাদের নিয়োগ দিতে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি। আমরা আইন, শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে এনটিআরসিএ বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি চিঠি পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে। সে চিঠিতে বলা হয়, যাদের বয়স ও সনদের মেয়াদ অতিক্রান্ত প্রার্থীগণকে একটা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আইনের অনুমতি প্রসঙ্গে। এমন একটা চিঠি আইন মন্ত্রণালয়ে যায়। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের সোহেল মাহমুদ স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং আসিফ নজরুল স্যারের সঙ্গে দেখা করি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করে ও আমাদের জন্য একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির জন্য অনুমতি দিয়ে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘চিঠিটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আসে, ওই সময়ের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্যার থাকেন না, উনার বিশেষ সহকারী আমিনুল স্যার উনি পদত্যাগ করেন। এমনকি সচিব রবিউল স্যার উনিও চলে যান। ওখান থেকে আইনের মতামতের যে ফাইলটা যাদের কাছে আসে, তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন। তখন তারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) বিস্তারিত না জেনে, এনটিআরসিএ-এর চেয়ারম্যানকে ডাকে। এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমাদের বিষয়ে সুপারিশ না করে তাদের আমাদের ব্যাপারে নেগেটিভ বুঝায়। এ জন্য আমাদের গণবিজ্ঞপ্তিটা পিছিয়ে আছে।’
তিনি আরও বলেন, গণবিজ্ঞপ্তিটা হলে, আমরা যারা আন্দোলন করতেছি, আমাদের মানবিক দিক বিবেচনা করেই আইন মন্ত্রণালয় চিঠিটা পাঠিয়েছিল। সেটার অনুমোদনও তারা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখন নতুন সচিব, এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান সবাই মিলে তালবাহানা করতেছে এবং বলতেছে আইন মন্ত্রণালয় কোনো অনুমতি দেয়নি, এটি আপনারা কোথায় পেলেন?
পরে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পত্রটা তাদের দেখাতে সক্ষম হয়েছি। তারা আমাদের আসতে বলে এবং আমাদের প্রতিনিধি মন্ত্রণালয়ে যায় এবং মন্ত্রণালয় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের কাছে যেতে বলে। তখন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমাদের বলেন যে, তারা অনুমতি দিয়েছে ও চিঠিতে কী লেখা আছে? আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি, যেহেতু আইনমন্ত্রণালয় মানবিক দিক বিবেচনা করে আমাদের অনুমতি দিয়েছে, তাহলে এখানে কী বাধা রয়েছে? আমরা এখানে আছি, এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান যেন, একটি সুপারিশ লিখে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে দেয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি সুপারিশ করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়। আজকে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে একটি মিটিং আছে, সে মিটিংয়ে যেন আমাদের বিষয়ে কথা বলে সেজন্য আমরা এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানকে জানাতে অবস্থান করছি।
আমার বার্তা/এল/এমই