হাবিপ্রবিতে গোপনে ছাত্রী হলে ছবি-ভিডিও ধারণ, এরপর যা ঘটল
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ১১:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শেখ সায়েরা খাতুন ছাত্রী হলে গোপনে সহপাঠীদের ছবি ও ভিডিও ধারণ, চুরি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে এক ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযুক্ত ছাত্রী রুমমেটদের সঙ্গে অসদাচরণ করতেন। ফোনে ভিডিও কলের নাম করে, কিংবা চুপিসারে ক্যামেরা চালু রেখে সহপাঠীদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতেন তিনি। এই নিয়ে তার সাবেক রুমমেটদের মধ্যেও সন্দেহ ছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বর্তমান রুমমেটরা তার ফোন চেক করে দেখতে পান, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের গ্যালারিতে তাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও রয়েছে, যা তারা ধারণের অনুমতি দেননি এবং যেগুলোর বিষয়ে তারা জানতেন না। এরপর বিষয়টি হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমকে জানানো হয়।
হলের অন্য শিক্ষার্থীরা জানান, আগের হল সুপারদের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং শিক্ষার্থীদের ‘মানিয়ে নিতে’ পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিনের মানসিক চাপে থাকা রুমমেটরা অবশেষে নিজেরাই উদ্যোগ নেন এবং প্রমাণসহ বিষয়টি হল প্রশাসনের সামনে উপস্থাপন করেন।
হল সুপার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং সে সার্টিফিকেটও সংগ্রহ করেছে। তা সত্ত্বেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে হলে অবস্থান করছিল। বিষয়টি জানার পর আমরা তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা হলে যাই। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ মেলে। এরপর তাকে হলে অবস্থান থেকে অপসারণ করা হয়। অধিকতর তদন্তের জন্য তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই