কমেছে শুকনা মরিচের দাম

প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩, ১৩:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

  প্রিন্ট ভার্সন

ফাইল ফটো

বাজারে প্রায় প্রতিদিনই যখন কোন না কোন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তখন কিছুটা স্বস্তির খবর এসেছে শুকনা মরিচের দামে। সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে শুকনা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা করে।
একসপ্তাহ পূর্বে প্রতি কেজি শুকনা মরিচ ৪২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩৬০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় খুশি জানিয়ে আরো দাম কমার দাবি নিম্ন আয়ের মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন হিলির কাঁচাবাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের প্রায় প্রতিটি দোকানেই শুকনা মরিচের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। কোন ধরনের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়নি সরবরাহ বাড়ায় দোকানিরা কিছুটা কম দামে বিক্রি করছেন। অপরদিকে দাম এখনো তুলনামূলক বেশি হওয়ায় চাহিদার চেয়ে কম কিনছেন মানুষজন।
হিলি বাজারে শুকনা মরিচ কিনতে আসা ইয়াসিন আলী বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের চাপে পড়ে আমরা সাধারণ মানুষজন চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছি। বাড়তি দামের কারণে কোন হিসেব নিকেশ আমাদের কাজ করছে না। মাসের যে বাজেট তা ১৫ দিন না যেতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রতিটা নিত্যপণ্যের দাম বেশী এভাবে আমরা চলবো কিভাবে। এই বাজারের মধ্যে কিছুটা স্বস্তির খবর এসেছে শুকনা মরিচের দামে। গতসপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কেজিতে ৪০টাকা থেকে ৬০টাকার মত কমেছে। এতে করে কিছুটা সুবিধা হয়েছে কিন্তু তারপরেও যে দাম রয়েছে এটিও আমাদের মত সাধারণ মানুষদের জন্য বাড়তি।

হিলি বাজারে শুকনা মরিচ কিনতে আসা গৃহিণী নূরজাহান বেগম বলেন, শুকনা মরিচ ছাড়া সাধারণত কোন তরকারিই রান্না করা সম্ভব নয় তাই এটি প্রতেক্যটা পরিবারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি পণ্য। বাড়তি দামের কারণে তরকারিতে শুকনামরিচের ব্যবহার কমাতে হচ্ছে। দাম আরও কমলে আমাদের মত মানুষদের জন্য সুবিধা হয়।

হিলি বাজারের শুকনা মরিচ বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বাজারে বগুড়া ও গাইবান্ধা অঞ্চলের শুকনা মরিচের সরবরাহ আগের তুলনায় কমতির দিকে ছিল। যার কারণে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ কমার কারণে বাজারে দাম ঊর্ধ্বমুখি। তবে সম্প্রতি নতুন করে পঞ্চগড় অঞ্চলের বিন্দু জাতের শুকনামরিচ আসতে শুরু করেছে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবারে এই জাতের শুকনামরিচের ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। এতে করে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। 

মোকামে আমরা এখন কম দামে শুকনামরিচ কিনতে পারছি যার কারণে আমরাও খানিকটা কম দামে বিক্রি করতে পারছি। সামনের দিনে অন্যান্য অঞ্চলের শুকনামরিচ আসতে শুরু করে যার কারনে বাজারে শুকনা মরিচের সরবরাহ আরও বাড়বে এতে করে দাম আরো কিছুটা কমে আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর এর সহকারি পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ও দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করছি। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রনে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। কেউ যদি অহেতুক কোন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এবি/ওজি