১৭ কোটি টাকা সম্পদমূল্যের কোম্পানিতে দায় রয়েছে ১৩৮ কোটি

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের একটি কোম্পানির সম্পদের তুলনায় দায় আট গুণের বেশি হয়েছে। ফলে এসব দায় পরিশোধের সক্ষমতা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এবং কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

কোম্পানিটির সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ মতামত দিয়েছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ মতামত জানিয়েছে নিরীক্ষক।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি হলো- গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড। এটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

নিরীক্ষক তার মতামতে জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের মোট দায় ১৩৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি। এর মধ্যে ব্যাংক ঋণ প্রায় ৯১ কোটি ৫৫ লাখ, আন্তঃকোম্পানি দায় ১৯ কোটি ৭৪ লাখ এবং অন্যান্য সরবরাহকারী ও পাওনাদারের কাছে পরিশোধযোগ্য বকেয়া প্রায় ১৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ‌এর বিপরীতে কোম্পানিটির চলতি সম্পদের পরিমাণ মাত্র ১৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, অর্থাৎ ১ টাকার সম্পদের বিপরীতে দায় ৮ টাকা ১৪ পয়সা।

নিরীক্ষক আরও জানিয়েছে, ৩০ জুন ২০২৫ শেষে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের বিক্রি হয়েছে ৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, আগের বছরে যা ছিল ৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিক্রি কমেছে ৫৮ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানিটির বিক্রি ও বিতরণ খরচ ১৬ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ৫ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে, আগের বছর যা ছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। বিক্রি কমা সত্ত্বেও বিতরণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা, প্রয়োজনীয়তা ও অনুমোদন নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

নিরীক্ষক উল্লেখ করেছে, কোম্পানিটি নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সাময়িকভাবে কারখানা বন্ধ করে এবং পরে সীমিত পরিসরে উৎপাদন শুরু করে। চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে লোকসান কিছুটা কমলেও কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসান ৫২ কোটি ৬১ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া কোম্পানি আইন অনুসারে, নিরীক্ষক নিয়োগের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে হয়। তবে কোম্পানিটি এখনো ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৫ হিসাব বছরের এজিএম আহ্বান করেনি। এর পরিবর্তে পর্ষদ সভার মাধ্যমে নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আমার বার্তা/এল/এমই