৩০ টাকা কমলো ব্রয়লারের দাম, চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বাজারে বেড়েছে ব্রয়লারসহ সব মুরগি এক লাফে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়; যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৮০–১৯০ টাকা। মুরগির দামে এই স্বস্তি এলেও উল্টো চিত্র মাছের বাজারে। রুই, কাতলা থেকে শুরু করে চাষের বেশির ভাগ মাছই বিক্রি হচ্ছে চড়া দরে।
আজ (শুক্রবার) রাজধানীর কাঁচাবাজারে এমন চিত্রই দেখা গেছে। প্রায় প্রতিটি দোকানেই প্রচুর পরিমাণে ব্রয়লার মুরগি রাখা হয়েছে। বেশির ভাগ দোকানি বিক্রি করছেন কেজিপ্রতি ১৫০ টাকায়।
আবার ব্রয়লার ছাড়াও অন্যান্য জাতের মুরগির দামও বাজারজুড়ে স্থিতিশীল রয়েছে। কক বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৬০ টাকা, লাল মুরগি (লেয়ার) ২৮০ টাকা আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ টাকা দরে। ডিমের বাজারেও তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, শীত আসছে দেখে অনেক খামারি তাদের মুরগি বাজারে ছাড়ছেন। এতে সরবরাহ বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। আর সরবরাহ বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই দাম কিছুটা কমেছে।
বিক্রেতারা বলেন, ব্রয়লারের সাথে কক, লাল আর দেশি মুরগির দাও একটু কমেছে। এসব মুরগির সরবরাহ একই রকম, খামারিরা হঠাৎ বেশি ছাড়েন না। তাই দামে তেমন ওঠানামা হয় না। তবে শীত বাড়লে হয়তো দাম আরেকটু কমতে পারে৷
তবে দাম কমলেও ক্রেতারা বেশ সতর্ক। অনেকেই আকার–ওজন দেখে বেছে বেছে মুরগি কিনছেন। তারা বলছেন, শীতের সময় অনেক সময় মুরগি রোগে আক্রান্ত থাকে কি না সেটা দেখে কিনতে হয়। শীতের বাজার বলে সবাই একটু বেশি সতর্ক।
মাহমুদ ভূঁইয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, শীতের সময় মুরগির নানা রোগ দেখা দেয়, তাই আমরা এখন আরও সাবধানে কিনছি। শুধু দাম কমলেই তো হবে না মুরগিটা সুস্থ কি না এসব দেখে তারপর কিনি। আগের চেয়ে সরবরাহ বেশি, তাই বেছে নেওয়ার সুযোগও আছে। দামও গত সপ্তাহের তুলনায় একটু কম৷
অন্যদিকে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ছোট–বড় সব ধরনের মাছ। একইবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছের পাইকারি ও খুচরা দরে কোনো স্বস্তি নেই।
বিক্রেতারা জানান, মাছের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে৷ এরমধ্যে আকৃতিভেদে রুই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকায়, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০–২২৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০–২৫০ টাকা এবং শিং–মাগুর ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। চাষ ও দেশি কই ৩০০-৬০০ টাকা আর বোয়াল ও চিতলসহ বড় মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়।
এ ছাড়া অন্যান্য মাছের মধ্যে ছোট চিংড়ি ৩০০-৩৫০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই
