আদানির সঙ্গে চুক্তির অনিয়ম অনুসন্ধান ও পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা করবে দুদক

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

রাষ্ট্রক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বেরিয়ে এসেছে ভারতের বহুজাতিক শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে পদে পদে অনিয়মের তথ্য। 

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ আমদানিতে এক বছরে অন্তত ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৭ মার্কিন ডলার শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে।

বিদ্যুৎ কেনার এ চুক্তির সময় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পাশ কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে শুল্ক ও কর অব্যাহতি। চলতি বছরের এপ্রিলে আদানির চুক্তির অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধান শুরুর কথা জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আদানি গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের করা চুক্তির অনিয়ম অনুসন্ধান ও পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা করতে নতুন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে দুদক।

সংস্থাটির উপ-পরিচালক আল-আমিনকে দলনেতা করে এই দলে আরও রয়েছেন উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান। দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা ও অনুসন্ধান পরিচালনা করবে এই নতুন কমিটি। তারা চুক্তির কাঠামো, আর্থিক ফিজিবিলিটি, সম্ভাব্য ক্ষতি ও অনিয়মসহ সব দিক থেকে বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে। কমিটির তিন সদস্যই সরকারি প্রকিউরমেন্ট বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রিধারী ও অভিজ্ঞ।
 
তারা চুক্তিতে কোনো অনিয়ম বা স্বার্থসংঘাত হয়েছে কি না তা যাচাই করবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে বিধি অনুযায়ী সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ দিন। যাচাই শেষে যদি চুক্তিটি অবৈধ বা অযৌক্তিক প্রমাণিত হয়, তবে চুক্তি বাতিলের বিষয়ে সুপারিশও করতে পারবে কমিটি।

২০২৩ সালের ৯ মার্চ ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় স্থাপিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। তখন থেকেই আমদানি করা এ বিদ্যুতের শুল্কসহ অন্যান্য কর পরিশোধ করা হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকার গত ৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনায় একটি জাতীয় কমিটিও গঠন করেছে।

আমার বার্তা/এল/এমই