৪১ শতাংশ ট্যারিফ কার্যকর হচ্ছে ১৫ অক্টোবর থেকে

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভেড়ানো, কনটেইনার উঠানো-নামানো, পরিবহণসহ বিভিন্ন সেবা খাতে বর্ধিত প্রায় ৪১ শতাংশ ট্যারিফ কার্যকর করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। 

১৫ অক্টোবর থেকে এই ট্যারিফ কার্যকর হবে। মঙ্গলবার চবকের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত গেজেট অনুসারে ট্যারিফ ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এখন ১৪ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে বন্দরে আসা সব জাহাজের জন্য ভেসেল বিল, কনটেইনার বিল ও কার্গো বিল বর্ধিত ট্যারিফ হারে আদায় করা হবে। নতুন ট্যারিফ হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিল প্রস্তুতের জন্য বন্দরের সব সফটওয়্যার প্রতষ্ঠানকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে নির্ভুল সিস্টেম চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, অস্বাভাবিক এই ট্যারিফ নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের নৌ মন্ত্রণালয়ে ডেকে বৈঠক করেছিলেন স্বয়ং নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সে সময় ব্যবসায়ীরা উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমান অবনতিশীল অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের এই দুর্যোগ মুহূর্তে সেবা খাতে ৪১ শতাংশ ট্যারিফ বৃদ্ধি ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়াবে। আমদানি-রপ্তানি ব্যয় দ্বিগুন বেড়ে যাবে। 

বন্দর যেহেতু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়; এবং লোকসানেও নেই; তাই ব্যবসায়ীদের ওপর ট্যারিফের বোঝা চাপানো উচিত নয়। ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১২ শতাংশ পর্যস্ত ট্যারিফ ধার্যের প্রস্তাব দেন। ওই সময় উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। কিন্তু তা না করে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ট্যারিফ কার্যকর হওয়ার কথা উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে ট্যারিফ আদায় কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার চবক এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে বর্ধিত ট্যারিফ কার্য কর করার ঘোষণা দিল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। সারা দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের ডেকে মিটিং করেছিলেন উপদেষ্টা। কিন্তু সেই মিটিং ও প্রস্তাবনার কোনো প্রতিফলনই ঘটেনি। ‘বিচার মানি তাল গাছ আমার’- এই ধারণা নিয়েই মিটিং ডেকে ব্যবসায়ীদের কষ্ট দেওয়ার কী দরকার ছিল!’

ট্যারিফ নিয়ে চবকের বক্তব্য হলো, ‘দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। বন্দরের সেবার মান আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়েছে। বেড়েছে খরচও। এশিয়ার ১০টিসহ বিশ্বের ১৭টি আন্তর্জাতিক বন্দরের কার্যক্রম ও ট্যারিফ পর্যালোচনা করে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে।’

জানা যায়, চলতি বছরের জুনে ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রথমে নৌ-মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ২৪ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন করে ওই প্রস্তাব। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন শেষে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

আমার বার্তা/এল/এমই