সিএমএসএমই উন্নয়নে সমন্বিত সহায়তার আহ্বান
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

দেশের কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (সিএমএসএমই) উন্নয়নে সমন্বিত সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার আয়োজিত “সিএমএসএমই খাতের ব্র্যান্ডিং ও বিপণন চ্যালেঞ্জ: রপ্তানি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি আরও বলেন, আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ার জটিলতা, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতার অভাব এবং উচ্চ উৎপাদন খরচ উদ্যোক্তাদের অগ্রযাত্রায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তাসকীন আহমেদ জানান, দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ শিল্প সিএমএসএমই খাতের অন্তর্ভুক্ত, যেখানে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ মানুষ কর্মরত আছেন এবং এই খাত জিডিপিতে ২৮ শতাংশ অবদান রাখছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক রপ্তানির ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী কার্যক্রম ও সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এসএমই উদ্যোক্তারা ঋণ সহায়তা সংকট, অবকাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষতার অভাব, নীতি সহায়তার সীমাবদ্ধতা, বাজারে প্রবেশাধিকার কম থাকা এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে না পারার মতো নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। এছাড়া আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ার জটিলতা, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতার অভাব এবং উচ্চ উৎপাদন খরচ উদ্যোক্তাদের অগ্রযাত্রায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি সিএমএসএমই ডাটাবেইজ তৈরি, ক্লাস্টার উন্নয়ন, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ, স্টার্টআপ উন্নয়নে সহায়তা, আন্তর্জাতিক বাজারে ব্র্যান্ডিং ও পণ্য সম্প্রসারণ এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদানের আহ্বান জানান।
আমার বার্তা/এল/এমই