পূর্বাচলে টেস্টিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করবে বিইআরসি
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

টেস্টিং ইনস্টিটিউট স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।রাজউকের দেওয়া পূর্বাচলের জমিতে ওই টেস্টিং ইনস্টিটিউট স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিইআরসির কনফারেন্স রুমে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিশনের পরিচালক (পেট্রোলিয়াম) ড. মোঃ দিদারুল আলম।
টেস্টিং ইনস্টিটিউটের কারিগরি দিকের উপর আলোচনা করে কমিশনের সদস্য (পেট্রোলিয়াম) ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বিইআরসির বড় কাজ হচ্ছে মানসম্মত এবং কোয়ালিটি যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা। দৈনন্দিন ব্যবহৃত অনেক বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি রয়েছে যেগুলো মান নিশ্চিত করা বিইআরসির অন্যতম কর্তব্য। আমরা এলপিজির ট্যাংক, সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে লাইসেন্স দিচ্ছি। সেখানে বলছি স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করার জন্য। কিন্তু তারা নির্দেশনা মেনে চলছে কিনা,দেশের প্রচলিত যেসব টেস্টিং ল্যাব রয়েছে, সেগুলো কতটা নির্ভরযোগ্য! সেসব বিষয়ে কাজ করছে বিইআরসি টেস্টিং ইনস্টিটিউট। মূলত আমরা একটি অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে চাই। যাতে করে আমাদের এখান থেকে সনদপ্রাপ্তরা বিশ্বের যেকোন প্রান্তে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
টেস্টিং ইন্সটিটিউটের গাইডলাইন, এনার্জি পরিবেশ সংক্রান্ত মান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কার্যপ্রণালী প্রস্তুতকরণ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এনার্জি লস যাচাইয়ের লক্ষ্যে বিশেষ গবেষণা কার্যক্রম চালুকরণ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এনার্জি লোকসান যাচাইয়ের লক্ষ্যে বিশেষ গবেষণা কার্যক্রম চালুকরণের নিমিত্ত কমিশন হতে একটি কমিটি কাজ করছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
এনার্জি ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, উহার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের মান নিরূপণ, এনার্জি অডিটের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জ্বালানী ব্যবহারের খরচের হিসাব যাচাই, পরীক্ষণ, বিশ্লেষণ, জ্বালানী ব্যবহারের দক্ষতার মান বৃদ্ধি ও সাশ্রয় নিশ্চিতকরণ বিষয়ে কমিশনের দায়িত্ব পালনের উদ্যোগ মূল প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়।
কমিশনের টেস্টিং ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য সরকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর সড়কে ১ বিঘার একটি প্লট বরাদ্দ দিয়েছে। প্লটের বিপরীতে মূল্যবাবদ ২০১৭ সালে ২ কোটি টাকা মূল্য পরিশোধ করেছে বিইআরসি। যদিও এখনও প্লটটি হস্তান্তর হয়নি বলে জানা গেছে।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান, সদস্য ব্রিগে. জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ শাহিদ সারওয়ার। বিইআরসির পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোঃ আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বুয়েট, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, স্রেডা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতের উৎপাদন ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা এবং কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
আমার বার্তা/এল/এমই