বোয়িং কেনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাণিজ্য আলোচনার সময় মনে হয়নি- বাংলাদেশের ২৫টি বোয়িং কেনার ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এটিকে তারা একবারের জন্যও আলোচনার মধ্যে আনেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে আলাপচারিতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) গোলাম মোর্তোজা ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশবিরোধী কোনো চুক্তি করছে না বাংলাদেশ। বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার পর সম্মতির ভিত্তিতে তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে আলাপচারিতায় জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, পাল্টা শুল্ক কমলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হতে যাওয়া বাংলাদেশের বাণিজ্য চুক্তিকে বলা হচ্ছে নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট। অর্থাৎ চুক্তির বিষয়বস্তু প্রকাশ করা যাবে না। এ চুক্তি কতটা দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
শুল্ক বিষয়ক দেনদরবারে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বাণিজ্য ও বিমান উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন জানান, ৩৫ শতাংশ থেকে পাল্টা শুল্ক ২০ ভাগে নেমে এলেও আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে দেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কিছু নেই বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০ শতাংশ শুল্কারোপ কোনো অবস্থাতেই আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। এ থেকে ফল পেতে গেলে নিজস্ব সক্ষমতা ও প্রতিযোগীশীলতা বাড়াতে হবে। দুঃখজনক হলেও চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেছে, সেখানে আসলে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছুই নেই। যেসব বিষয় ইনডিরেক্টলি স্বার্থবিরোধী হতে পারে, আমরা আলোচনার মাধ্যমে বের হয়ে এসেছি। চুক্তি হলে দেশটির সম্মতিতে তথ্য প্রকাশ করা হবে।
উপদেষ্টা জানান, দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ২ বিলিয়ন ডলারের কৃষি পণ্য আমদানি ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে চায় সরকার।
তিনি বলেন, আমরা বহির্বিশ্ব থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করি ১৫-২০ বিলিয়ন ডলারের। আমরা যদি প্রতিযোগিতা মূল্যে কৃষিপণ্য আমদানি করতে পারি, তাহলে ভোক্তাদের কম দামে দিতে পারবো। বাজার স্থিতিশীল থাকবে। আমাদের ঘাটতি ৬ বিলিয়ন ডলারের। আমরা ২ বিলিয়ন ডলারের আমদানি করতে পারলে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে।
আকাশ পথের যাত্রীর চাপ হিসেবে ২৫টি বিমান কিছুই না জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ বিমানের সক্ষমতা বাড়াতে পরিবর্তন আসছে আইন ও বিধিতে। বোয়িং বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি দেশটি। আকাশ পথে যে পরিমাণ যাত্রী চাপ রয়েছে, তাতে ২৫টি বিমান কিছুই না। সক্ষমতা না বাড়ালে নতুন উড়োজাহাজ কোনো কাজে আসবে না। এজন্য আমরা আই্ন ও বিধিতে পরিবর্তন আনছি।
দেশে বিমানের টিকিট নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বার্তা দেন উপদেষ্টা।
আমার বার্তা/এল/এমই