এক লাখ দশ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করবে সরকার

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৩:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

দেশের কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে সরকার নতুন করে এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই সিদ্ধান্তে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

সার আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫০ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এরমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা হবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার, যা শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার। প্রতি টনের দাম পড়বে ৩৮৫.৫০ ডলার। অন্যদিকে, চীন থেকে আমদানি করা হবে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। প্রতি টনের দাম পড়বে ৭২৯.২৫ ডলার। এছাড়া, সৌদি আরব থেকে আরও ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আসবে। যার ব্যয় ২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। প্রতি টনের দাম ৭১৫ ডলার।

বিশ্ববাজারে সারের দামে অস্থিরতা ও স্থানীয়ভাবে কৃষি উৎপাদনের মৌসুম সামনে রেখে এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি ইউরিয়া ও ডিএপি সারের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে আনাও সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আমদানির এই সিদ্ধান্তে বাজারে কৃত্রিম সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো যাবে। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে আমদানি করায় খোলা বাজারে দরপত্র আহ্বানের জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কৃষিখাতের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সার আমদানির এ ধরনের উদ্যোগ কৃষি উৎপাদনের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তবে সময়মতো এই সার সরবরাহ ও মাঠপর্যায়ে এর ন্যায্য বিতরণ নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগকে আরও সজাগ থাকতে হবে।

সারের সরবরাহ ও মূল্যনির্ধারণ নিয়ে কৃষকদের উদ্বেগ দীর্ঘদিনের। এই আমদানির সিদ্ধান্তে স্বস্তি মিলবে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের মধ্যে—এমনটাই আশা সরকারের। তবে প্রকৃত সুফল পেতে হলে মাঠপর্যায়ে নজরদারি, সঠিক বিতরণ ও দুর্নীতিমুক্ত কার্যক্রম নিশ্চিত করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।

 

আমার বার্তা/এল/এমই