লজিস্টিক নীতির বাস্তবায়নে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান অপরিহার্য
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১৬:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

“বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি” শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দেশের লজিস্টিক ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদী মাস্টারপ্ল্যান এখন সময়ের দাবি।
রোববার (২৯ জুন) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এ সেমিনার আজ ডিসিসিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়) ড. শেখ মইনউদ্দিন বলেন, এলডিসি পরবর্তী প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে রেল, সড়ক, নৌ ও বিমানসহ বহুমাত্রিক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন অপরিহার্য। তিনি জানান, সরকার ২৫ থেকে ৫০ বছর মেয়াদি একটি সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে কাজ করছে।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, লজিস্টিক পারফর্ম্যান্স ইনডেক্স-২০২৩ অনুযায়ী ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম, যা হতাশাজনক। বন্দরে যানজট, কাস্টমস জটিলতা ও অবকাঠামো দুর্বলতা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি দ্রুত অ্যাসাইকোডা ও ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ সলিম উল্লাহ এবং বিল্ড চেয়ারপার্সন আবুল কাসেম খান। আবুল কাসেম খান লজিস্টিক খাতের উন্নয়নে ২০ বিলিয়ন ডলার বার্ষিক বিনিয়োগ প্রয়োজন উল্লেখ করে ২০২৬-৩৫ সালকে ‘লজিস্টিক দশক’ ঘোষণার প্রস্তাব দেন।
মূল প্রবন্ধে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ ছাড়া টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়। তিনি বলেন, কেবল লজিস্টিক খাতে ২৫% ব্যয় কমালে রপ্তানি ২০% বাড়ানো সম্ভব।
আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, ইডকল নির্বাহী পরিচালক আলমগীর মোর্শেদ, ডিপি ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শামীম উল হক, সাপ্লাইচেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির সভাপতি নকিব খান এবং এডিবির সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার হুমায়ুন কবীর।
তাঁরা বলেন, জমির সংকট, দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের ঘাটতি ও দক্ষতার অভাব লজিস্টিক উন্নয়নে বড় বাধা। বেসরকারি বিনিয়োগ এবং বিদেশি অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি নীতিগত সহায়তা ও অবকাঠামোতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের তাগিদ দেন তাঁরা।
মুক্ত আলোচনায় সাবেক বন্দর চেয়ারম্যান এম খালেদ ইকবালসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, কমপ্লায়েন্সভিত্তিক আইসিডি সম্প্রসারণ এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এবং পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমার বার্তা/এমই