হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে দেশেও বাড়বে জ্বালানির দাম

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৫, ১১:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে বাড়বে জ্বালানি তেলের দাম। বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের শিল্প-কারখানাসহ সব খাতে। বিকল্প জলপথ না থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে চাহিদার অর্ধেক জ্বালানি আটকে যাওয়ার শঙ্কা বিশ্লেষকের।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী হামলার জবাবে হরমুজ প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। এরই মধ্যে, পারস্য উপসাগরের মুখে অবস্থিত কৌশলগত প্রণালীটি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট।
 
দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল কাওসারি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ।
 
প্রণালী বন্ধ হলে বৈশ্বিক জ্বালানির বাজারে নৈরাজ্য দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম সপ্তাহেই তেলের দাম ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। ৩৪ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই জলপথ চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশেরও। আরপিজিসিএলের তথ্য বলছে, হরমুজ প্রণালি দিয়ে ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৮৭ কার্গো এলএনজি আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
 
এর মধ্যে ২৬৭ কার্গো কাতার থেকে এবং ওমান থেকে এসেছে ১২২ কার্গো। অর্থাৎ চাহিদার ৮০ শতাংশ মেটাচ্ছে এই দুই দেশ। চলতি অর্থবছরেও ৫৬ কার্গো এলএনজির মধ্যে এপ্রিল পর্যন্ত এসেছে ৪৬ কার্গো। হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে, বাংলাদেশকে জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে না কাতার।
 
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব থেকে বছরে প্রায় ১৪ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হয়। হরমুজ প্রণালি এড়িয়ে লোহিত, এডেন ও আরব সাগর হয়ে বাংলাদেশকে তেল সরবরাহ করতে পারবে সৌদি আরব।
 
তবে বিকল্প জলপথ না থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটকে যাবে চাহিদার অর্ধেক জ্বালানি। এলপিজি অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি হুমায়ুন রশীদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে দেশে বড় বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
 
উল্লেখ্য, বিশ্বে প্রতিদিন ব্যবহৃত মোট তেলের প্রায় ২০ শতাংশ পরিবহন করা হয় হরমুজ প্রণালি দিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ এই জলপথ দিয়ে পরিবাহিত জ্বালানি তেলের প্রায় ৭০ শতাংশেরই ভোক্তা দক্ষিণ এশিয়া।


আমার বার্তা/এল/এমই