দীর্ঘ ২০ বছর পর শেয়ারবাজারে শনিবার লেনদেন, শুরুতেই দরপতন

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৫, ১২:৪২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

দীর্ঘ ২০ বছর পর দেশের শেয়ারবাজারে শনিবার লেনদেন হচ্ছে। পতনের বৃত্তে আটকে থাকা শেয়ারবাজারে এমন ঐতিহাসিক দিনেও দরপতনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

শনিবার (১৭ মে) লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি টাকার বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৫০-এর কম প্রতিষ্ঠান।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে এ বাজারটিতেও লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

এক সময় দেশে সপ্তাহিক সরকারি ছুটি ছিল একদিন। ১৯৯৭ সালে প্রথম দুদিন (শুক্রবার ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণ করা হয়। তবে ২০০১ সালে তা বাতিল করে আবার সাপ্তাহিক ছুটি একদিন করা হয়। অবশ্য ২০০৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আবার সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করা হয়।

সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করায় দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেনেও দুদিন বন্ধ থাকে। তবে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার দীর্ঘ ছুটি দেওয়ার পাশাপাশি দুই শনিবার অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তার আলোকে আজ (শনিবার) সরকারি সব অফিস খোলা থাকার পাশাপাশি শেয়ারবাজারে লেনদেন চলছে।

এর মাধ্যমে ২০০৫ সালের পর আবারও শেয়ারবাজারে শনিবারে লেনদেনের ঘটনা ঘটলো। এমন ঐতিহাসিক দিনে শেয়ারবাজারের লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলেছে।

কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই দাম কমার তালিকায় চলে আসে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে বাজারে ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা জুড়েই এ অবস্থা অব্যাহত থাকে। ফলে প্রথম ঘন্টার লেনদেনে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে।

অবশ্য এরপর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকা থেকে বেরিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখেছে। এতে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়েছে। তবে সূচক ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১১টা ৪ মিনিটে ডিএসইতে ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৫টির। আর ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৭পয়েন্ট। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩০ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৫৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩টির, কমেছে ২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির।


আমার বার্তা/এল/এমই