ঈদে বেতন দিয়েছে ৩২ শতাংশ কারখানা, ৭০ শতাংশ বোনাস

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  মো. রাজিব উদ্-দৌলা চৌধুরী:

এবার ঈদে শিল্প অধ্যুষিত আট এলাকার ৩২ শতাংশ পোশাক কারখানা শ্রমিক মার্চের বেতন পেয়েছে। ফলে এখনো ৬৮ শতাংশ কারখানার শ্রমিকরা মার্চের বেতন পাননি। এছাড়া, ৭০ শতাংশ কারখানা ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে। তবে ঈদের আগেই শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প উদ্যোক্তারা,তবে তা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সম্মতি জানিয়েছেন কারখানা মালিকরা। তবে ৩২ শতাংশ কারখানা মালিকরা ঈদের আগে মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে , বোনাস হয়েছে ৭০ শতাংশ কারখানায়।

কারখানা মালিকরা বলছেন, কারখানাগুলোয় এবার বেতন পরিশোধ পরিস্থিতি ছিল চ্যালেঞ্জিং। কারখানার ক্রয়াদেশ বাড়লেও পণ্যের দাম কমিয়ে দিচ্ছেন ক্রেতারা। এতে নগদ অর্থ সংকটের প্রভাব পড়েছে বেতন-বোনাস পরিশোধে।

শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, শিল্প অধ্যুষিত এলাকার কারখানাগুলোয় ঈদের আগে অস্থিরতা দেখা দেয়। এবার ঈদেও বেতন-বোনাস পরিশোধে সমস্যা হতে পারে এমন ৪১৬ কারখানা চিহ্নিত করেছিল শিল্প পুলিশ। এ বিষয়ে নীতিনির্ধারক ও শিল্প মালিকদের আগেই জানিয়েছেন তারা।

শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট এলাকায় মোট কারখানার সংখ্যা ৯ হাজার ৪৬৭টি। শিল্পাঞ্চলগুলোর মধ্যে বিজিএমইএর সদস্য কারখানার সংখ্যা রয়েছে এক হাজার ৫৮৯টি। বিজিএমইএ সদস্য কারখানার মধ্যে ১৫ শতাংশ কারখানায় বেতন পরিশোধ হয়েছে, বোনাস হয়েছে ৭৫ শতাংশ কারখানায়। পোশাকশিল্পের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য কারখানা ৬২৮টি। যার মধ্যে ১০ শতাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে, বোনাস দিয়েছে ৬২ শতাংশ কারখানা।

তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএর  সভাপতি এস এম মান্নান কচি জানান, এবার পোশাকখাত একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছিল। কারখানায় বেতন বেড়েছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়েছে। কিন্তু মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে পণ্যের দাম সমন্বয়ের কথা থাকলেও ক্রেতারা এটা করেননি। এরপরও প্রায় সব কারখানা মালিক বোনাস দিয়েছেন। বেশিরভাগ কারখানা বেতন-বোনাস ঈদের আগেই পরিশোধ করে দিয়েছে ।অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন,সব সময় ঈদ আসলে এ ধরনের ঝামেলা এড়ানোর জন্য পোশাক প্রস্তুতকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। 

 

আমার বার্তা/এমই