বাজারের অস্থিরতা যেন বেড়েই চলেছে

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:০২ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

বর্তমানে সময়ে দুর্মূল্যের বাজারে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য জীবিকা নির্বাহ করা অনেক কষ্টের। নিত্যপণ্যসহ সব কিছুর দামই আকাশছোঁয়া। গত বছরের ৫ আগস্ট হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় হু হু করে বেড়ে যায় মাছ-মাংস, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম। এর ধারাবাহিকতায় বাজার পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।’

দিন দিন বাজারের অস্থিরতা যেন বেড়েই চলেছে। বাড়া কমার মধ্যেই আছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। কিছু কিছু পণ্যের দাম না বাড়লেও কমেনি একটুও। শীতকালীন সবজি বাজারে আসলেও তা নেই ক্রেতার নাগালের মধ্যে। আলু, পেঁয়াজ, গাজরের পাশাপাশি বেড়েছে শাকের দামও। এমন পরিস্থিতিতে সীমিত আয়ের মানুষের 'নাভিশ্বাস'। মাছ মাংস তো দূর, সবজি খাওয়াই এখন বিলাসিতা বলছেন অনেকে।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর কাওরান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৪২-৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে পটল ৭৫-৮০ টাকা থাকলেও বর্তমানে তা ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
তবে স্থিতিশীল আছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের মত কচুর মুখি, ঢেঁড়শ, গাজর, করলার দাম না বাড়লেও সাধ্যের বাইরে বর্তমান দাম। স্থিতিশীল আছে ডাল, চিনি, হলুদ মসল্লার দামও।

এদিকে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তবে শীতকালীন সবজি পাওয়া গেলেও তা ক্রেতার সাধ্যের বাইরে। বাজারে ১ কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৫০-৬০ টাকা দরে। এছাড়াও শীতকালীন বিভিন্ন সবজিতে কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়া ফুলকপি, বাধা কপির দাম ক্রেতার ধরা সাধ্যের বাইরে। এতে বিক্রি কম হচ্ছে বলছেন ক্রেতারা।

এদিকে বাজারের এমন লাগামহীন দৌঁড়ে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। সব থেকে বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। মাছ মাংস তো দূর সবজি খাওয়াও যেন বিলাসিতা তাদের।

এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও মাছের বাজারে আকাশ ছোঁয়া দাম। গত কয়েক মাসে কেজি প্রতি মাছের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। তবে বাজার মনিটর করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা বলেন, বাজারদর স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত অভিযান চলছে। তবে তা কি কোনো প্রভাব ফেলছে বাজার দরে এটাই এখন বড় প্রশ্ন।


আমার বার্তা/জেএইচ