মোটরসাইকেলে এসে গাড়িতে থাকা বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় মোহাম্মদ আবদুল হাকিম (৬৫) নামে বিএনপির এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে রাউজানের মদুনাঘাট ব্রিজ সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল হাকিম উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই এলাকায় তার প্রতিষ্ঠিত হামিম অ্যাগ্রো নামে একটি গরুর খামারের স্বত্বাধিকারী। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আবদুল হাকিম গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হলেও তার দলীয় পদ-পদবির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঠিক কী কারণে কিংবা কে বা কারা তাকে গুলি করেছে সে বিষয়েও তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত গাড়িটি ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির দলীয় সূত্র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘গুলির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে এলে বিস্তারিত জানাতে পারবো। এরপর আইনি প্রক্রিয়ার দিকে যাবো।’
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বিকেল পাঁচটার দিকে মুহাম্মদ আবদুল হাকিম তাঁর গ্রামের খামারবাড়ি থেকে অপর একজনসহ তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে করে কাপ্তাই সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি চালকের পাশের আসনে বসা ছিলেন। মদুনাঘাট এলাকায় পৌঁছালে একদল মোটরসাইকেল আরোহী অস্ত্রধারী তাঁর গাড়ির পিছু নেয়। এরপর পানি শোধনাগার এলাকায় পৌঁছালে তাঁরা আবদুল হাকিমের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হন। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে নগরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, রাউজানে গত ৫ আগস্টের পর সহিংসতায় মোট ১৩টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১০টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয় অন্তত শতাধিকবার। ৩০০-এর বেশি মানুষ এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন।
আমার বার্তা/এমই