৯ ডিগ্রিতে নামল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা, হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের স্বাভাবিক জনজীবন।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে এই জেলায় সর্বনিম্ন।
ভোর ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ডের সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ থেকেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। হাড়কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে দিনমজুর, ভ্যানচালক ও শ্রমিকদের।
শহর ও গ্রাম– উভয় জনপদেই শীতের তীব্রতায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে চাচ্ছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের কারণে শীতের দাপট কমছে না।
শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলাজুড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগব্যাধি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ জন রোগী শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শহরের হোটেল ব্যবসায়ী আব্বাস আলী বলেন, ‘ফজরের আজানের পরপরই হোটেল খুলতে হয়। কিন্তু ভোরে পানিতে হাত দিলে মনে হয় হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। পেটের দায়ে তাও কাজ করতে হচ্ছে।’
একই কথা জানালেন চা-দোকানি আকাশ হোসেন। তিনি বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডায় লোকজনের আনাগোনা কমে যাওয়ায় এখন বাধ্য হয়ে দেরিতে দোকান খুলছেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ সকালে রেকর্ড করা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। জেলার ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আমার বার্তা/এমই
