ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের অনিয়মের অভিযোগে পরিবহন খাতের হুঁশিয়ারি
২ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ঘোষণা
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:২৮ | অনলাইন সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাফিক বিভাগে অনিয়ম–দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ তুলে ৭ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। দাবিগুলো পূরণ না হলে আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে জেলায় লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা–সিলেট মহাসড়কের কাউতলী এলাকায় মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন পরিবহন নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির কারণে পরিবহন খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মীর আনোয়ার বিভিন্ন অপকৌশলে মালিক–শ্রমিকদের নাজেহাল করা, যানবাহন আটক রাখা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রমিকদের অপমান করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
পরিবহন নেতাদের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
- ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মীর আনোয়ারকে অপসারণ
- আটক গাড়ি দ্রুত মালিকদের জিম্মায় ফেরত দেওয়া
- পরিবহন নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার
- শহরে মালবাহী যানবাহনের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ
- বাঁশবাজার এলাকায় ট্রাক লোড–আনলোডের স্থায়ী ব্যবস্থা
- মহাসড়কে অযান্ত্রিক যান চলাচল বন্ধ
- সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও রিকুইজিশনের নামে হয়রানি বন্ধ, সরকারি ভাতা নিশ্চিত করা
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, জ্বালানি, টায়ার–টিউব ও যন্ত্রাংশের দাম পাঁচ গুণ বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খাত অলাভজনক হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি আশুগঞ্জ–কুটি সড়কে ফোর লেন প্রকল্পের ধীরগতি ও রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে মাসে ১০ দিনও গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না, ফলে মালিক–শ্রমিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত।
পরিবহন মালিক–শ্রমিকদের অভিযোগ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মীর আনোয়ারের ‘সেচ্ছাচারী আচরণ’ ও বেআইনি কার্যক্রমের কারণে জেলায় প্রায় পঞ্চাশ–ষাট হাজার শ্রমিক আজ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে।
মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নিয়ামত খান, সদস্য সচিব মো. মেরাজ ইসলামসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতারা বক্তব্য দেন। পরে সাত দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আমার বার্তা/মো. আরিফুল হক জুয়েল/এমই
