ব্রাহ্মণপাড়ায় ভুয়া সার্টিফিক দেয়ায় কলেজ সভাপতিকে অপসারণ

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:০৫ | অনলাইন সংস্করণ

  বিল্লাল হোসেন , ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি(মাল্টিমিডিয়া):

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দিয়ে সিদলাই আমির হোসেন জোবেদা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ থেকে সাবিনা আফরোজকে অপসারণ করা হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার এর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অপসারণের কথা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। সাবিনা আফরোজ অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আমির হোসেনের ছেলে, জিয়াউল হাসান মাহমুদের স্ত্রী।

জানা যায়, গত কয়েক মাস পূর্বে সাবিনা আফরোজকে সিদলাই আমির হোসেন জুবেদা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি করা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী কলেজের সভাপতি হইতে স্নাতকোত্তর পাস হওয়া প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে সাবিনা আফরোজের সেই যোগ্যতা ছিল না। তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার অফ আর্টস ইন ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড দাওয়াহ সনদে স্নাতকোত্তর পাশ দেখিয়ে উক্ত কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হয়।

পরবর্তীতে সনদ যাচাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত সাপেক্ষে রেজিস্টার মোঃ ওসমান গণীর স্বাক্ষরিত ১৪ই সেপ্টেম্বর তারিখে লিখিতভাবে জানান, তাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত স্থায়ী ক্যাম্পাসে সাবিনা আফরোজ, রোল ০১৯ রেজিস্ট্রেশন ২০০৯১১২০১৯, সেশন ২০১১,মাস্টার অফ আর্টস ইন ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড দাওয়াহ পাশকৃত সনদটি অবৈধ এবং তাদের ওয়েবসাইটে এর কোন অনলাইন রেকর্ড নেই। 

নিয়ম অনুযায়ী গত ১৬ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার এর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কলেজের অধ্যক্ষকে জানান, সাবিনা আফরোজের সনদটি জাল প্রমাণীত হওয়ায় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তদস্তলে নতুন সভাপতি মনোনয়নের লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তিনজন ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করার অনুরোধ করা হয়। 

এ ব্যাপারে আমীর হোসেন জোবেদা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো: নজরুল ইসলাম সততা স্বীকার করে বলেন কতৃপক্ষ সাবিনা আফরোজের জাল সাটিফিকেটের এর কারনে সভাপতি পদ থেকে আব্যহতি দিয়েছে এই মর্মে কতৃপক্ষ 'আমার বরাবর একটি আবেদন পাঠিয়েছে এবং স্নাতকোত্ত তিনজনের নাম উল্লেখ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পাঠানোর জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন'। 

এব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল করিম বলেন 'আমি শুনেছি জাল সাটিফিকেটের কারনে উক্ত কলেজের সভাপতিকে আব্যহতি দিয়েছে। তবে আমি এখনো লিখিত চিঠি পাইনি'।