ফেনীতে বাড়ি ঢুকে ৭০ ভরি সোনাসহ দুই কোটি টাকার মালামাল লুট
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

ফেনীর দাগনভূঞায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দিনগত রাতে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনীয়া বাজার সংলগ্ন চানপুর গ্রামের আজিজ উল্যা মাস্টার বাড়িতে এ ডাকাতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দাবি, ডাকাত দল পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ৭০ ভরি সোনা, ৩ হাজার ইউরো, নগদ ৪ লাখ টাকা দুই কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই রাতে আজিজ উল্যার ছোট ছেলে কামাল উদ্দিন বাবুলের ডুপ্লেক্স ঘরের বারান্দার লোহার গ্রিল ও কলাপসিবল গেটের গ্রিল কেটে ডাকাত দল প্রবেশ করে। তারা ঘরের লোকজনকে বেঁধে ৭০ ভরি সোনা, ৩ হাজার ইউরো, নগদ ৪ লাখ টাকা, মোবাইল ফোন, মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। যার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
জানা যায়, বাবুল মিয়ার বড় মেয়ে লাবনী আক্তার সুইডেন প্রবাসী। সম্প্রতি তিনি দেশে আসেন ও বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বাবুল মিয়ার ছোট বোন তার সঙ্গে বসবাস করেন। কিছুদিন আগে আরেক বড় বোন বেড়াতে এসেছেন। বাবুল মিয়ার স্ত্রী, মেয়ে ও বোনের মিলিয়ে প্রায় ৭০ ভরি সোনা ডাকাতরা হাতিয়ে নেয়। ঘটনার রাতে বাবুল মিয়ার স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না। ডাকাতরা ঘরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরে অবস্থান করা বাবুল মিয়া, দুই ভাগনে ও দুই বোনকে বেঁধে ফেলে। বাবুল মিয়াকে মারধর করে তারা। সকালে লোকজন টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়দের দাবি, স্থানীয় ও আশপাশের চিহ্নিত কতিপয় সন্ত্রাসী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জড়িতদের বিরুদ্ধে মাদক কারবার, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহেদ পারভেজ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতদের ধরতে অভিযানসহ মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে সিলোনীয়া বাজারের মুদি মনিহারি ব্যবসায়ি আজাদ স্টোরের মালিক আজাদের (৪৫) চোখেমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র দুই ভরি সোনা ও নগদ টাকাসহ ৫ লাখ টাকার মতো ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী দুইজনকে চিহ্নিত ও আরও ৫-৭ জনকে সন্দেহ করে থানায় মামলা করলেও পুলিশ এখনো কোনো আসামি ধরতে পারেনি। এছাড়া উপজেলার ইয়াকুবপুর থেকে ১১টি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
গত মাসে জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর গ্রামের তিন বাড়ি থেকে ৭টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। সিলোনীয়া পেট্রোল পাম্পের অনতিদূরে আগস্ট মাসে উত্তর আলীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষিকার নিকট থেকে দিনদুপুরে সিএনজি থেকে নগদ টাকা, সোনা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনার থানায় অভিযোগ করলেও কোনো সুফল মেলেনি। গত মাসে সিলোনীয়া বাজারে স্বামী-স্ত্রী কে আটক করে কাবিন তালাশ ও হাতাহাতির ঘটনায় করা মামলায়ও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারে নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
আমার বার্তা/জেএইচ