চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারি খাদ্য সহায়তা পেলেন ৪৫ হাজার জেলে
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

চাঁদপুর জেলায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকা ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলেকে মানবিক খাদ্য সহায়তার (ভিজিএফ) ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলেদের এসব খাদ্য সহায়তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক মেঘনা উপকূলীয় মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় ৩ অক্টোবরের মধ্যে যাতে নিবন্ধিত জেলেরা খাদ্য সহায়তা পান।
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর জেলেদের হালনাগাদ সংখ্যা হিসেবে ৪৩টি পৌরসভা ও ইউনিয়নের ৪৫ হাজার ৬১৫ জন জেলের জন্য খাদ্য সহায়তার ১১৪০.৩৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ আসে। এসব চাল গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য দুই লাখ ৮৫ হাজার ৯৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। টন প্রতি পরিবহন ব্যয় ধরা হয় ২৫০ টাকা।
হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এ বি এম আশরাফুল হক বলেন, উপজেলায় ১২ হাজার ৩০৩ পরিবারের মাঝে সুশৃঙ্খলভাবে খাদ্য সহায়তা চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো জেলে এই বিষয়ে অভিযোগ করেননি।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে চান্দ্রা ইউনিয়নের জেলেদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। ওই ইউনিয়নের জেলেরা বলেন, এবার চাল ওজনে ঠিক পেয়েছি। দুইজন জেলেকে ২৫ কেজি করে ৫০ কেজির বস্তা দেওয়া হয়েছে। যার ফলে আলাদা করে ওজন দিতে হয়নি।
একই এলাকার জেলে বাবুল মিজি বলেন, চাল পেয়ে আমাদের উপকার হয়েছে। কারণ ২২ দিন আমাদের বেকার থাকতে হবে। তবে এই সহায়তা আরো বৃদ্ধি করা দরকার।
সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পূজার বন্ধের কারণে সদরে চাল বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে নিবন্ধিত সব জেলের চাল পাওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, প্রত্যেক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি।
আমার বার্তা/এল/এমই