অনলাইনে জুয়া খেলার বিরোধে তাড়াইলে যুবক নিহত
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ আশিকুর রহমান, তাড়াইল প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া):

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে অনলাইনে জুয়া খেলার বিরোধের জেরে আল আমিন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত আল আমিন উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আউজিয়া গ্রামের দেওয়ান আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় অনলাইনে ক্রিকেট খেলা নিষেধ করার বিষয় নিয়ে জুয়ার এজেন্ট আলাল উদ্দিনের ছেলে শামিমের সঙ্গে আল আমিনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি হয়।
এ সময় আল আমিনসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
এলাকার যুবক নাইমুল ইসলাম নাইম ও আরও কয়েকজন আহতদের কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার পথে উপজেলার তালজাঙ্গা বাজারে শামিম তার জুয়ার গুন্ডাবাহিনীসহ অতর্কিত হামলা চালিয়ে আল আমিন, মিজান ও আবদুর রউফকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন।
পরে সেনাবাহিনী আল আমিনকে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শামিম বহু বছর ধরে অনলাইনে জুয়ার এজেন্ট হিসেবে এলাকায় যুবকদের জুয়ায় আসক্ত করে আসছেন।
এক পর্যায়ে শামিম সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে চাকরি নেওয়ার পর জুয়ার ব্যবসার দায়িত্ব তার চাচাতো ভাইকে দিয়ে দেন এবং লাভের বড় অংশ নিজে গ্রহণ করেন। ঘটনার কয়েক দিন আগে শামিম ছুটিতে বাড়িতে এসে পূর্বের মতো জুয়ার ব্যবসা দেখাশোনা শুরু করেন।
তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির রহমান বলেন, “শুক্রবার রাতে করিমগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের সার্জেন্ট সাখাওয়াত আলীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ১০ সদস্যের একটি দল তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আউজিয়া গ্রামের আল আমিন, মিজান ও আবদুর রউফকে থানায় নিয়ে আসে। আল আমিনকে গুরুতর আহত দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে আল আমিনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজনকে ৫৪ ধারায় জেলা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি।