চট্টগ্রামে পুলিশের অভিযানে কিশোরীকে অপহরণের দায়ে গ্রেপ্তার ৮
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) বন্দর থানা পুলিশ পৃথক অভিযানে ফাঁড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট, ডাকাতির প্রস্তুতি, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা এবং মাদকদ্রব্যসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে। এসব অভিযানে একজন অপহৃত কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে বন্দরের পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গা, মাইজপাড়া, ইশান মিস্ত্রিরহাট, নোয়াপাড়া কুমারী দিঘীরপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ফাঁড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বন্দর থানার ওসির নেতৃত্বে এসআই এরশাদ মিয়ার দল শুক্রবার সকালে পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গা ও মাইজপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এতে ফাঁড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট মামলার চার আসামি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ওরফে রুবেল (৪২), রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জুয়েল (৩৯), মো. রাকিব (২৮) ও মো. রিদওয়ান (৩৬) গ্রেফতার হন। তাদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে।
ডাকাতির প্রস্তুতির সময় দুজন আটক
একই দিনে সকালে ইশান মিস্ত্রিরহাট এলাকায় এসআই উস্যাং মং মার্মার নেতৃত্বে অভিযানে মো. বাদশা (৩০) ও মো. নাঈম (২০) নামে দুজনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
কিশোরী উদ্ধার, ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে বন্দর থানার নোয়াপাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে অপহৃত হন সাবিকুন নাহার অনন্যা (১৫)। পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ সেপ্টেম্বর সকালে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ খন্দকার (২৮) গ্রেফতার হন। ভিকটিমের মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।
ইয়াবাসহ এক ব্যবসায়ী ধরা
এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে কুমারী দিঘীরপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সোহেল শেখ ওরফে দিন মোহাম্মদকে (৩৪) ৫৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, আসামিদের ধরতে আমরা তৎপর। আসামি ধরতে প্রায় সময় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাদের বিভিন্ন মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই