রাজবাড়ীতে কোচিং সেন্টারে ছাত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গে শিক্ষক অবরুদ্ধ
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

রাজবাড়ীর পাংশায় নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে ফজলু প্রামাণিক (৪৮) নামে এক শিক্ষককে বিদ্যালয়ের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় জনতা।
এ সময় একটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন তারা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষার্থীসহ কয়েকশ স্থানীয় জনতা স্কুল শিক্ষক ফজলু প্রামাণিকের বিচার ও পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ফজলুল হক দীর্ঘদিন ধরে কোচিং বাণিজ্যের আড়ালে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছেন। বুধবার সকালে ওই শিক্ষক নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে কোচিং সেন্টারে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন। এ সময় ঘটনাটি এক ছাত্র দেখে বিদ্যালয়ের সব ছাত্রছাত্রীদের জানালে ধীরে ধীরে অভিভাবক ও এলাকাবাসী সবাই জেনে যান।
দুপুরের মধ্যে উত্তাল হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। বিদ্যালয়ের প্রধান গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পাংশা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে পুলিশ পাহারায় ওই শিক্ষককে থানায় নেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে ওই শিক্ষকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
দশম শ্রেণির ছাত্র বাঁধন মণ্ডল বলেন, ফজলু স্যার এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই বিদ্যালয়টি কুক্ষিগত করে রেখেছেন। এই শিক্ষক কোচিং সেন্টারের আড়ালে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার মতো শিক্ষকের এই বিদ্যালয়ে থাকার দরকার নেই, তাই আমরা তার পদত্যাগের দাবি করছি।’
বাগদুলী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ. খালেক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষক মো. ফজলুল হকের বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টারের আড়ালে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ শুনেছি। বুধবার দুপুরে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এর মধ্যে বিক্ষোভকারীরা বিদ্যালয়ের প্রধান গেট, বিদ্যালয়ের জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা। বিষয়টি তাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছি। আমরা একটি মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব।’
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আমার বার্তা/এল/এমই