কুষ্টিয়াতে বিএনপি নেতার বসত বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ২১:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
ইসরাইল হোসাইন (মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি) কুমারখালী:

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জহুরুল ইসলামের বসত বাড়িতে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জহুরুল ইসলামের পৈতৃক জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ একই এলাকার গনি শেখের ছেলে সাব্বির,গোলাপ,আলীম সেখের ছেলে তুষার ও মমিনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। অভিযুক্তরা জহুরুলের ক্রয়কৃত ফসলি জমি দীর্ঘ দশ বছরেরও বেশি সময় আওয়ামী লীগের পেশীশক্তি ব্যবহার করে দখলে রেখেছে। এরা সবাই আওয়ামিলীগের সক্রিয় কর্মী।
দখলকৃত জমি জহুরুলের পিতা আনছার আলী চাষ দিতে গেলে দখলদাররা বাধা দেয়,পরে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় উপরোক্ত অভিযুক্তরাসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামিলীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে জহুরুলের বসত বাড়িতে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরবর্তীতে দুষ্কৃতিকারীদের হাতে প্রাণনাশের আশংকা থাকায় বাড়িতে যেতে পারছে না ভুক্তভোগীরা।
ঘটনা দিনই বিএনপি নেতা জহুরুল বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে দুদিন পরে মামলাটি নথিভুক্ত হলেও এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলা এজাহার ভুক্ত কোন আসামী গ্রেফতারে থানা পুলিশের কোন তৎপরতা নেই বলে জানিয়েছেন জহুরুল।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই রশিদ জানান,আসামীরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের অনেক বেশি ফোর্স নিয়ে অভিযান করতে হবে যদিও গতকাল আমরা অভিযানে বের হয়ে ছিলাম কিন্তু যান্ত্রিকত্রুটি ও আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় যেতে পারিনি।
মামলা হওয়ার পর আসামীরা পলাতক থাকায় এবিষয়ে আসামী পক্ষের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুমারখালী থানায় চলতি দায়িত্ব থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আমীরুল ইসলাম বলেন, আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে। দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।