বিশাল আকৃতির ব্ল্যাক ডায়মন্ড সাড়া ফেলেছে নড়াইলে

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫, ১৬:৪০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

নড়াইল সদর উপজেলা ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নড়াইলে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৫ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়কে।

যত্ন আর পরিচর্যায় সন্তানের মতো লালন করা ওই ষাঁড়টির গায়ের রং কালো। তাই ষাঁড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। ষাঁড়টি বিক্রির জন্য ১২ লাখ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে।

নড়াইলের মিলটন হোসেন সিকদারের চিত্রা এগ্রো ফার্মে কোরবানির জন্য ৫৭টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক ডায়মন্ড। ফার্মের এক পাশে আলাদাভাবে পরিচর্যা করা হয় তাকে। সারা দিন ফার্মের ভেতর দিন কাটে তার। ২৪ ঘণ্টা চালিয়ে রাখতে হয় ফ্যান ও লাইট। ডায়মন্ডের খাদ্য তালিকায় রয়েছে শুকনো খড়। তাছাড়া ভুট্টা, খেসারি ও জবের সংমিশ্রণে তৈরি ভুসি খাওয়ানো হয়। তার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কাঁচা ঘাসও রয়েছে। গরমের মধ্যে শ্যাম্পু ও সাবান দিয়ে গোসল করানো হয় দিনে দুই থেকে তিনবার।

জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা মিলটন হোসেন সিকদার ( ৪২)। তার সাড়ে ৪ বছর বয়সী ব্ল্যাক ডায়মন্ডের ৬টি দাঁত। ষাঁড়টির তেজ ও রাগ অনেকটাই বেশি। তবে খামারের কর্মীরা নিজ সন্তানের লালনপালন করছেন। ওজন প্রায় ৩৫ মণ অর্থাৎ ১৪০০ কেজি। সুঠাম দেহের অধিকারী ষাঁড়টির উচ্চতা ৬ ফুট ও লম্বায় প্রায় ১১ ফুট। এরই মধ্যে ষাঁড়টি দেখতে খামারে আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।

খামারি বলেন, প্রায় চার বছর ধরে ব্ল্যাক ডায়মন্ডকে আমি সন্তানের মতো লালনপালন করেছি। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বিক্রির জন্য তাকে প্রস্তুত করছি। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এটি আমি বিক্রি করতে চাই। ব্ল্যাক ডায়মন্ডের ওজন ৩৫ মণ। এটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু।

তিনি বলেন, আমি এটিকে বিক্রির জন্য ১২ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। আমার ইচ্ছা ভালো ক্রেতা পেলে বাড়ি থেকে দাম কম-বেশি করে বিক্রি করে দেব।

চারদিকে খবর ছড়িয়েছে এলাকার সবচেয়ে বড় ষাঁড় মিলটনের ব্ল্যাক ডায়মন্ড। এ জন্য প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে ষাঁড়টি দেখার জন্য। ষাঁড়টি দেখতে এসেছিলেন সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান।

তিনি বলেন, খবরটি শুনে আমিও গরুটি দেখতে এসেছি। এত বড় গরু এর আগে আমি দেখিনি।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা মোট ৫৪  হাজার ৫৮৫টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ২৩ হাজার ২৩৩টি, ছাগল ও ভেড়া ৩১ হাজার ৩৫২টি। চলতি বছর জেলায় কোরবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার ৫১৬টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ১৪ হাজার ৬৯টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্ধিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিলটনের গরুটি বেশ বড়। তিনি  ৪ বছর ধরে লালন-পালন করে গরুটিকে বড় করেছেন। তাকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলায় ৯টি পশুর হাট রয়েছে। প্রতিটি হাটে আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। আমাদের ৫টি মেডিকেল টিম আছে। মেডিকেল টিমের মূল কাজ হলো হাটে গরু এসে যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়া। এছাড়া যদি কোনো খামারি অবৈধ উপায়ে গরুকে মোটাতাজা করেন তাহলে সেটি চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া।


আমার বার্তা/এল/এমই